মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি হয় এমন কথা বলা ঠিক নয়

20 hours ago 10

অনেকে আল্লাহর ভয়ে মসজিদে রাজনৈতিক বা অন্য আলোচনা করতে নিষেধ করেন উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বাইরে মনে হয় আল্লাহ নেই!

এসময় কোরআন-সুন্নাহর আলোকে সমাজের চিত্র জাতির সামনে তুলে ধরতে ইমামদের প্রতি আহ্বান জানান জামায়াত আমির। এক্ষেত্রে মসজিদ মিশনকে সমন্বয় করার পরামর্শও দেন তিনি।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জেলা পর্যায়ের ইমাম-খতিবদের নিয়ে বাংলাদেশ মসজিদ মিশন আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডা. শফিকুর রহমান।

সব মসজিদে একই খুতবা দেওয়ার জন্য ইমাম-খতিবদের প্রতি আহ্বান জানান জামায়াত আমির। একইসঙ্গে খুতবাকে প্রাণবন্ত করতে আরবি খুতবার বিষয়বস্তু আগের বক্তব্যে তুলে ধরারও পরামর্শ দেন তিনি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, বর্তমানে সমাজকে মসজিদ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ অবস্থা একদিনে করা হয়নি। এর কিছু দায় ওলামাদেরকে নিতেই হবে।পবিত্র কোরআনের তাফসির বা হুবহু বাংলা অনুবাদও যদি কেউ একবার পড়েন তাহলে তা তার হেদায়েতের জন্য যথেষ্ট।

জামায়াত আমির বলেন, মসজিদে নববীই ছিল রাসুলের (সা.) পার্লামেন্ট, মসজিদই ছিল কেবিনেট। সেখানে বসেই সবকিছু পরামর্শ করা হতো, সেখানেই তিনি বিচার করতেন। এখন মসজিদে ইমাম-খতিব বয়ান দেন তা অনেকেই মিস করেন। পবিত্র জুমার যে প্রাণশক্তি তা পরিষ্কার করা হয়নি।

মুসলমানদের মধ্যে অনৈক্য সৃষ্টি হয় এমন কোনো কথা বলা ঠিক নয়—জানিয়ে তিনি বলেন, ধারণা করে কোনো কথা বলতে আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে নিষেধ করেছেন। এসময় সঠিক কথা মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে ইমাম-খতিবদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ওলামায়ে কেরাম এক হলে বাংলাদেশ জান্নাতে পরিণত হবে জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো আলেমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এত জুলুম-নির্যাতনের পরও তারা কীভাবে এত শান্ত থাকতে পারেন! তারা বিশ্বাস করেন যে, হিংসা-বিদ্বেষ আল্লাহ পছন্দ করেন না। এসব আলেম-ওলামা যদি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পান, তাহলে দেশ হিংসামুক্ত হবে বলে আশা করি।

মসজিদ মিশনের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীনের সভাপতিত্বে ও জেনারেল সেক্রেটারি ড. খলিলুর রহমান মাদানীর পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা আবু তাহের জিহাদী প্রমুখ।

ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কি-নোট উপস্থাপন করেন কাতার ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আলী আল কারাদাগি।

এএএম/এসআর

Read Entire Article