মুসাদ্দিককে হত্যা করতে চেয়েছিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ
যখন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম ও সেক্রেটারি ইনান তখন তাদের সঙ্গে একাই লড়াই করে গেছেন চব্বিশের গণঅভ্যূত্থানের অন্যতম সংগঠক, কারা নির্যাতনের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ। অবৈধভাবে সিট দখল করা ছাত্রলীগ নেতাদের হল ছাড়তে বলায় মুসাদ্দিককে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতারা।
বুধবার (০৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. আবু সাদাত সাইম তার ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে আওয়ামী দুঃশাসনের সময় মুসাদ্দিকের অকুতোভয় ভূমিকা নিয়ে লেখেন।
পোস্টে তিনি বলেন, সাদ্দাম-ইনান যখন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারি সেই সময়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলার মতো স্পর্ধা দেখিয়েছিল মুসাদ্দিক। শিক্ষার্থী সংসদে ওদেরকে হল ছাড়তে বলে পোস্ট দিয়েছিল। তখন ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এভাবে প্রকাশ্যে কথা বলতে দেখিনি কাউকে। মুসাদ্দিককে হত্যার পরিকল্পনাও চলছিল। আমাকে অনেকে বলত তোমার বন্ধু মুসাদ্দিক তো বেশি সাহস দেখাচ্ছে। দেখো যখন-তখন মারা পড়বে। এসময় আমরাও ভয় পেতাম ওর এরকম কর্মকাণ্ড দেখে। তবে মুসাদ্দিক কারো কথায় দমে যায়নি।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, অন্যায়ের প্রতিবাদে রাজুতে মুসাদ্দিকের শক্ত অবস্থান দেখে তৎকালীন ভিসি মাকসুদ কামালও বিচলিত ছিলেন। মুসাদ্দিকের ছাত্রত্ব বাতিলের হুমকিও দিয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সেক্রেটারি সৈকত টিএসসির টিচার্স লাউঞ্জে বিভিন্ন জনের কাছে মুসাদ্দিকের সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছিল সেসময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম, বলছিল এই ছেলেটা বেশি বাড়ছে। উদ্যানে সৈকতের বিদ্যুৎ নিয়ে অবৈধ ব্যবসায়ের বিরুদ্ধে মুসাদ্দিক শিক্ষার্থী সংসদে পোস্ট দিয়েছিল, যার ফলে সৈকতের এই ধান্দা বন্ধ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনের সময় জসীম উদ্দীন হলের টিভিরুমে আন্দোলনে না যেতে শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দেওয়া সৈকতের বক্তব্য প্রকাশ করেছিল মুসাদ্দিক। যার ফলে সৈকত ও হল ক্যান্ডিডেটরা মারাত্মক চাপের মুখে পড়েছিল।
সাদাত লিখেন, এই বিপ্লবী মুসাদ্দিক বাংলার গৌরব। ডাকসুতে মুসাদ্দিকের মতো প্রতিবাদী, অকুতোভয় নেতৃত্বের জয় হোক।
উল্লেখ্য, মুসাদ্দেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন। তার ব্যালট নং ৯।