মৃত্যুশয্যায় থাকা ভাইকে দেখতে এসে প্রতিবেশীদের হামলায় আহত ব্যক্তি, অভিযোগ থানায়

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় মৃত্যুশয্যায় থাকা বড় ভাইকে দেখতে এসে প্রতিবেশীদের হামলার শিকার হয়েছেন এক ব্যক্তি। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ঘটনায় তার স্ত্রীসহ আরও দুইজন আহত হয়েছেন।ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে রোববার ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাকিম (৬৪) দীর্ঘদিন ধরে জীবিকার তাগিদে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় বসবাস করে আসছেন। তার বড় ভাই আব্দুল কদ্দুছ (৮০) বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় মৃত্যুশয্যায় থাকার খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে তিনি নিজ গ্রামে ফিরে আসেন। গ্রামে পৌঁছে বড় ভাইকে দেখার পর পাশের একটি দোকানে চা পান করতে গেলে প্রতিবেশী এহসান (৩৫) ও হুমায়ুন (৩৮) কোনো পূর্ব বাকবিতণ্ডা ছাড়াই তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। দোকানে উপস্থিত লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন। তবে কিছুক্ষণ পর অভিযুক্তরা পুনরায় তার বাড়িতে গিয়ে আবারও মারধর করে। হামলার সময় স্বামীকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে আব্দুল হাকিমের স্ত্রী ঝর্না খাতুন

মৃত্যুশয্যায় থাকা ভাইকে দেখতে এসে প্রতিবেশীদের হামলায় আহত ব্যক্তি, অভিযোগ থানায়

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় মৃত্যুশয্যায় থাকা বড় ভাইকে দেখতে এসে প্রতিবেশীদের হামলার শিকার হয়েছেন এক ব্যক্তি। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ ঘটনায় তার স্ত্রীসহ আরও দুইজন আহত হয়েছেন।

ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে রোববার ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাকিম (৬৪) দীর্ঘদিন ধরে জীবিকার তাগিদে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় বসবাস করে আসছেন। তার বড় ভাই আব্দুল কদ্দুছ (৮০) বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় মৃত্যুশয্যায় থাকার খবর পেয়ে শনিবার বিকেলে তিনি নিজ গ্রামে ফিরে আসেন। গ্রামে পৌঁছে বড় ভাইকে দেখার পর পাশের একটি দোকানে চা পান করতে গেলে প্রতিবেশী এহসান (৩৫) ও হুমায়ুন (৩৮) কোনো পূর্ব বাকবিতণ্ডা ছাড়াই তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। দোকানে উপস্থিত লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন। তবে কিছুক্ষণ পর অভিযুক্তরা পুনরায় তার বাড়িতে গিয়ে আবারও মারধর করে। হামলার সময় স্বামীকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে আব্দুল হাকিমের স্ত্রী ঝর্না খাতুন (৫৫) গুরুতর আহত হন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করা হয়। খবর পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শী দোকানদার মনির উদ্দিন বলেন, “হঠাৎ করেই তারা এসে মারধর শুরু করে। আমরা কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে যায়।” আরেক প্রত্যক্ষদর্শী ফরজুল ইসলাম বলেন, “আমি আব্দুল হাকিমের সঙ্গেই বসা ছিলাম। কোনো কথা-কাটাকাটি ছাড়াই এহসান তাকে মারধর শুরু করে। দোকান থেকে রক্ষা পেলেও বাড়িতে গিয়েও তাকে আবার মারধর করা হয়।” আহত আব্দুল হাকিমের ছেলে আলী আকবর জানান, তার বাবা বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া তার মায়ের বাম হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি করেন, জমিজমা সংক্রান্ত পূর্বশত্রুতার জেরেই পরিকল্পিতভাবে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

তিনি আরও জানান, মৃত্যুশয্যায় থাকা আব্দুল কদ্দুছ (৮০) সোমবার সকাল ৯টায় মারা যান। পরে বিকেল ৪টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত এহসানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ঘটনার বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে ফোন কেটে দেন। এ প্রসঙ্গে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল আযম বলেন, “অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow