মেঝেতে পড়ে ছিল গৃহবধূর মরদেহ, স্বামী ও শ্বশুর আটক

1 hour ago 5

 

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় পলী বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের হারজী গ্রামে ওই গৃহবধূর বাবার বসতঘরের মেঝে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ঘটনার দিন গতকাল শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে স্বামী সন্তানসহ ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। নিহত গৃহবধূর স্বজনদের দাবি দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামী হাসান মৃধা ওই গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ মেঝেতে ফেলে আত্মহত্যার প্রচারণা চালায়।

নিহত গৃহবধূ লামিয়া আক্তার পলী মঠবাড়িয়া পৌরশহরের সবুজনগর মহল্লার বাসিন্দা হাসান মৃধার স্ত্রী। তাদের দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে।

এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর স্বামী হাসান মৃধা ও তার শ্বশুর লিটন হাওলাদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

থানা ও নিহত গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া পৌর শহরের সবুজনগর মহল্লার মো. নাসির মৃধার ছেলে হাসান মৃধা ও একই উপজেলার হারজী গ্রামের লিটন হাওলাদারের মেয়ে পলী বেগম প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে স্বামীর পরাকীয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। গত দুদিন আগে স্বামী হাসান মৃধা পলী বেগমকে ও তাদের দুই বছর বয়সী ছেলেকে নিয়ে পলী বেগমের বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্ক। এরপর তারা ঘুমিয়ে পড়েন। মধ্যরাতে জামাই হাসান মৃধা তার ঘুমন্ত শ্বশুরকে ডেকে তুলে জানান পলী আত্মহত্যা করেছে। পলীর বাবা লিটন হাওলাদার ছুটে এসে দেখেন মেয়ের মরদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। এসময় পুলিশ গৃহবধূর স্বামী হাসান ও তার শ্বশুরকে আটক করে।

এ ব্যাপারে নিহত গৃহবধূর খালা নুসরাত বেগম অভিযোগ করেন, আমার বোনের মেয়েকে দাম্পত্য কলহের জের ধরে তার মরদেহ ঘরের মেঝেতে ফেলে রাখে তার জামাই। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাই।

হাসানের মা বিউটি বেগম জানান, আমার ছেলেকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। আমরা চাই সঠিক তদন্ত হোক।

এ ঘটনায় মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে বাবার বসতঘর হতে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জ্ঞিাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী ও তার বাবাকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মো. তরিকুল ইসলাম/এমএন/জেআইএম

Read Entire Article