রাজধানীর মিরপুরে কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ ওরফে সাঈদ খানের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দারের আদালতে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন।শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষেতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার (২৬ জুলাই) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর পুলিশের পল্লবী জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান মুন্সী তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। অন্যদিকে সাঈদ খানের পক্ষে তার আইনজীবী দেলোয়ার জাহান রুমী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
- আরও পড়ুন
- আমি আটক হইনি, দেশেই আছি: হারুন
- যুক্তরাজ্য আশ্রয় না দিলে কোথায় যাবেন শেখ হাসিনা?
- জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরোবিয়া খানের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, গত ১৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকালে কাফরুল থানার কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশনে ৫-৬ হাজার লোক হামলা করে। তারা লাঠি, লোহার রড, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্র রামদা, দা, কুড়াল, শাবল, কাটার, হাতুড়ি ইত্যাদি নিয়ে কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনের প্রবেশ/বহির্গমন গেট ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে মেট্রোরেল স্টেশনের কনকোর্সে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালায় এবং মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম লুট করে নিয়ে যায়।
রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়, আসামিরা অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ভাঙচুর করে। এতে এই মেট্রোরেল স্টেশনের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা। গ্রেফতার আসামিরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হয়ে সরকার উৎখাতের জন্য পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালায়।
এর আগে গত ২২ জুলাই ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের এমআরটি লাইন-৬ এর উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. ইমাম উদ্দীন কবীর বাদী হয়ে কাফরুল থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় তিনি অজ্ঞাতনামা ৫/৬ হাজার আসামি উল্লেখ করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সরকারবিরোধী আন্দোলনরত দল ও অঙ্গ-সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে ৫/৬ হাজার দুর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা, লোহার রড, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র যেমন- রামদা, দা, কুড়াল, শাবল, কাটার, হাতুড়ি ইত্যাদি নিয়ে কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালায় এবং মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি লুটপাট করে নিয়ে যায়। তাদের অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ভাঙচুরে মেট্রোরেল স্টেশনের ১০০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে কাফরুল থানার আওতাধীন অংশে ৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
জেএ/এমআরএম/জিকেএস