মেহেরপুর ইসলামী আন্দোলনের উর্বর ভূমি : গোলাম পরওয়ার

5 hours ago 3

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন- ‘মেহেরপুর যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের উর্বর ভূমি ছিল, ঠিক তেমনি ইসলামী আন্দোলনের উর্বর ভূমি হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। এজন্যই এই জেলার ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সবচেয়ে বেশি জেল জুলুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হতে হয়েছিল। শেখ হাসিনা সারা দেশ থেকে জামায়াত ও শিবিরকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেই স্বৈরাচার শেখ হাসিনা নিজেই আজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।’

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে মেহেরপুরের শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্কে জেলা জামায়াতে ইসলামীর এক বিশাল কর্মী সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

তিনি আরও বলেন, গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা জনপ্রশাসনসহ সব সেক্টরেই ঘাপটি মেরে পড়ে আছে। এজন্যই অন্তর্বর্তী সরকারকে মাঝেমধ্যেই নানা নামে বিদ্রোহের ঝামেলায় পড়তে হচ্ছে। উপদেষ্টাদের আমি অনুরোধ করব বিগত ১৫ বছরে বঞ্চিত সরকারি কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আসনে পদায়ন করার। সংস্কারের পর যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন হবে, তবে এই যৌক্তিক সময় কতদিন বা কত বছর তা নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। নির্বাচন কমিশন, পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাহী বিভাগ সংস্কারের পর সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলেই কেবল নির্বাচন হতে পারে।

তিনি বলেন, বিএনপিসহ দেশের সব রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জামায়াতের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ইসলামী আন্দোলনের দলগুলোসহ সব দলের সঙ্গে সংলাপ চলছে। গণতন্ত্রের স্বার্থে যারা ঐক্যবদ্ধ থাকবে তাদের সঙ্গেই জোটবদ্ধ নির্বাচন করবে জামায়াত। 

এ সময় গোলাম পরওয়ার দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাস্তবায়ন করতে গেলে ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া বাদ দিতে হবে। আমি চেয়ারম্যান হবো, মেম্বার হবো এমন চাহিদা অন্তরে দখল করে রাখা যাবে না। আজকে যারা কর্মী আছেন আগামীতে তারা নেতা হবেন, আর যারা নেতা আছেন তারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে যাবেন। এভাবেই ইসলামি আন্দোলন এগিয়ে যাবে।

মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাময়াতের কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট রুহুল আমিনসহ মেহেরপুর জেলার নেতারা। কর্মী সম্মেলনে প্রায় দশ সহস্রাধিক জামায়াত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

Read Entire Article