মোদীকে কটাক্ষ করা মালদ্বীপের দুই মন্ত্রীর পদত্যাগ

1 month ago 11

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘ক্লাউন’ বা ‘ভাঁড়’ বলে কটাক্ষ করা মালদ্বীপের দুই মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। তারা হলেন মারিয়াম শিউনা এবং মালশা শরিফ। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ব্যক্তিগত কারণের কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর দপ্তরে পদত্যাগপত্র জমা দেন তারা।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভ্রমণ শেষে দিল্লিতে ফিরে ভারত মহাসাগরের তীরে অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ওই দ্বীপটির কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে পরোক্ষভাবে ভারতীয়দের সেখানে ভ্রমণের আহ্বান জানান তিনি।

নরেন্দ্র মোদী ওই পোস্ট দেওয়ার পরপরই তুমুল আলোচনা-সমালোচনা শুর ‍হয় মালদ্বীপের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। দেশটির সাধারণ নেটিজেনদের পাশাপাশি ভারতের সমালাচনা ও মোদীকে কটাক্ষে জড়িয়ে পড়েন মালদ্বীপের বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা-মন্ত্রিসভার সদস্যরা।

প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর মন্ত্রিসভার তিন সদস্যের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মোদীকে বাজেভাবে কটাক্ষ করার অভিযোগ ওঠে। ওই তিন মন্ত্রী হলেন মারিয়াম শিউনা, মালসা শরিফ ও মাহজুম মজিদ। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকর প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে এই তিনজনকে চলতি বছরের জানুয়ারিতেই বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে মারিয়াম ও মালসা মন্ত্রিসভা থেকে মঙ্গলবার অব্যাহতি নিলেও মাহজুম মাজিদ এখনো পদত্যাগপত্র জমা দেননি।

এদিকে, মালদ্বীপীয় জনগণের এমন আচরণের পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকেন ভারতীয়রা। পর্যটন গন্তব্য হিসেবে মালদ্বীপকে বয়কটের ডাক দেওয়া শুরু করেন ভারতের লোকজন। এক্স, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘বয়কটমালদ্বীপ’ হ্যাশট্যাগে সয়লাব হয়ে যায়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মালদ্বীপের অর্থনীতিতে।

মূলত বিশ্বের যেসব দেশ থেকে পর্যটকরা মালদ্বীপে যেতেন, তাদের অর্ধেকই ছিলেন ভারতীয়। মালদ্বীপকে বয়কটের ডাক দেওয়ার পর চলতি বছর থেকে দেশটিতে ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমে যায়। ফলে শুধু পর্যটনখাত নির্ভর মালদ্বীপের অর্থনীতির গোড়ায় আঘাত লাগে।

সূত্র : রয়টার্স

এসএএইচ

Read Entire Article