ভারত, নেপাল, ভুটান ও চীনের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণে মোংলা সমুদ্র বন্দর বাংলাদেশের জন্য একটি কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে। এটি পানি ও স্থলভাগের সঙ্গে পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে বিশ্ব বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এজন্য বন্দরটির আধুনিকায়ন করা হবে। ৩ হাজার ৬৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন এবং শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্য সদস্যরা।
জানুয়ারি ২০২৫ থেকে ডিসেম্বর ২০২৮ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। আধুনিক বন্দর সুবিধাসহ কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশন জানায়, বর্তমানে মোংলা বন্দরে ৪৭টি জাহাজ একসঙ্গে নোঙ্গর করতে পারে। কিন্তু কোনো কন্টেইনার জেটি নেই। মোংলা বন্দরে বর্তমানে বার্ষিক ১ কোটি ৫০ লাখ মেট্রিক টন কার্গো এবং ১ লাখ টিইইউজ কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা রয়েছে।
এ বন্দর দিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে ট্রানজিট কার্গো হ্যান্ডলিং করার সম্ভাবনা রয়েছে। খুলনা-মোংলা রেলপথ স্থাপনের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। রেললাইন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হলে মোংলা বন্দরের মাধ্যমে কার্গো হ্যান্ডলিং অনেকাংশে বাড়বে। এ প্রেক্ষাপটে মোংলা বন্দর আধুনিকায়ন প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এমওএস/এমকেআর