মোটরসাইকেল চালক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৩

11 hours ago 5
ময়মনসিংহের ত্রিশালে মোটরসাইকেল চালক জুবায়েদ আহমেদ হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে নগরীর পিবিআই কার্যালয়ে পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে জামালপুর বকশীগঞ্জের বাট্টাজোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় জুবায়েদ আহমেদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নাজমুল ইসলাম (৩০), আবুল কাশেম ওরফে সোনা মিয়া (৫৫) ও আব্দুল আজিজ ওরফে আনিছ (২৪)। মামলার বিবরণে জানা যায়, আসামি নাজমুলের বাড়ি ত্রিশালের বৈলরে। দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে তিনি টঙ্গীতে ওয়েলডিংয়ের কাজ করতেন। এ দিকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের জুবায়েদ মিরপুরের শিয়ালবাড়ি থেকে বাইক রাইডার হিসেবে কাজ করতেন। গত ২৯ ডিসেম্বর বিকাল ৪টার দিকে জুবায়েদ ভাড়ার জন্য টঙ্গী স্টেশন রোডের মাথায় দাঁড়ালে সেখানে অভিযুক্ত নাজমুলের সঙ্গে দেখা হয়। নাজমুল টঙ্গী থেকে ময়মনসিংহ শহরে আসা-যাওয়ার কথা বলে জুবায়েদের মোটরসাইকেল ভাড়া করে। মোটরসাইকেলটি ত্রিশাল বৈলরে পৌঁছালে নাজমুল তার চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে পাওনা টাকা নেওয়ার কথা বলে তাকে নিয়ে ঘটনাস্থল এলাকায় যায়। একপর্যায়ে নাজমুল চাদর দিয়ে ফাঁস দিয়ে তাকে হত্যা করে এবং জুবায়েদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যায়। পরে নাজমুল মোবাইলটি ত্রিশালের ধানিখোলা বাজারে খোকন নামে এক মেকারের কাছে বিক্রি করে দেয় এবং মোটরসাইকেল নিয়ে জামালপুরের বকশীগঞ্জ বাট্টাজোড় এলাকায় গিয়ে আত্মগোপন করে। সেখানে দুদিন পর নাজমুল মোটরসাইকেলটি ওই এলাকায় তার পরিচিত সোনা মিয়ার কাছে বিক্রি করে। এদিকে সোনা মিয়া ছিনতাইকরা মোটরসাইকেলটি ভাতিজি জামাই আব্দুল আজিজ ওরফে আনিছের হেফাজতে রাখে। পিবিআই পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার জানান, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর সকালে ময়মনসিংহের ত্রিশালের বৈলর কামারপাড়ায় একটি পুকুর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পিবিআই। ক্রাইমসিন টিম ডিজিটাল ফিঙার প্রিন্টের মাধ্যমে অজ্ঞাত নিহত জুবায়েদ আহমেদের পরিচয় শনাক্ত করে। তিনি নেত্রকোনা মোহনগঞ্জের সামাদ তালুকদারের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আজহারুল ইসলাম ত্রিশাল থানায় বাদী হয়ে হত্যা মামলা করার পর পিবিআই ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তাদের গ্রেপ্তার করে। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হলে এ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে।
Read Entire Article