মোসাদের আপত্তি সত্ত্বেও কাতারে হামলা চালায় ইসরায়েল

2 hours ago 1

নিজেদের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের আপত্তি সত্ত্বেও কাতারে হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, মোসাদ কাতারে একটি গোপন স্থল অভিযানের পরিকল্পনা করলেও, তা বাতিল করে। কারণ, সংস্থাটির প্রধান ডেভিড বারনিয়ার মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ হামাসের সঙ্গে চলমান ‘জিম্মি সমঝোতা আলোচনায়’ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে ও কাতার সরকারের সঙ্গে সম্পর্ককেও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

জানা গেছে, মোসাদ তার স্থল অভিযানের পরিকল্পনা বাতিলের পরেই বিমান হামলার পথ বেছে নেয় ইসরায়েল। তবে দেশটির নিরাপত্তা মহলের একটি অংশও এখন মনে করছে, ওই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা কোনো হামাস নেতাকে হত্যা করা যায়নি।

ওয়াশিংটনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোসাদের আপত্তি সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও কয়েকজন মন্ত্রী হামলার পক্ষে অবস্থান নেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ, শিন বেতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান ‘মেম’ ও কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডারমার কাতারে হামাস নেতৃত্বকে আঘাতের পরিকল্পনায় সমর্থন দেন।

কিন্তু সেনাপ্রধান এয়াল জামির, মোসাদ প্রধান ডেভিড বারনিয়া, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাহি হানেগবি ও প্রতিরক্ষা মহলের বেশিরভাগই এই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার পক্ষে ছিলেন। তাদের মতে, গাজায় বন্দী জিম্মিদের ফেরত আনার আলোচনাই এখন অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। আলোচনায় জড়িত এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, অবস্থান ছিল একেবারেই স্পষ্ট- জিম্মি ফেরানোর চুক্তি এখনো টেবিলে আছে, তাই আলোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

এছাড়া ইসরায়েলের জিম্মি আলোচক দলের প্রধান নিতজান অ্যালনকে এ বৈঠকে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। কর্মকর্তাদের ধারণা ছিল, তিনি এ পরিকল্পনার বিরোধিতা করবেন।

ওয়াশিংটন পোস্ট আরও জানায়, শেষ পর্যন্ত ইসরায়েল বিমান বাহিনী দিয়ে কাতারে হামলা চালায়। এ হামলা তদারকি করা হয় শিন বেতের একটি কমান্ড সেন্টার থেকে। এক ইসরায়েলি সূত্রকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যার মতো গোপন স্থল অভিযান এবার মোসাদ চালাতে রাজি হয়নি।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েল ১৫টি যুদ্ধবিমান ও ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। বিশ্লেষকদের মতে, সম্প্রতি হামাসের আক্রমণে চার সৈন্য নিহত হওয়ার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েল এই হামলা চালায়। তবে এতে হামাসের কোনো শীর্ষ কর্মকর্তা নিহত হননি।

হামাস জানিয়েছে, হামলার পরও হামাসের ভারপ্রাপ্ত নেতা খলিল আল-হাইয়াসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা জীবিত আছেন। তবে হামলায় খলিল আল-হাইয়ার ছেলে ও একজন কাতারি কর্মকর্তাসহ আরও কয়েকজন নিহত হয়েছেন।

সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট

এসএএইচ

Read Entire Article