প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছিলেন মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ কাপের গত আসরে দর্শক উচ্ছৃঙ্খলায় দলটি হেরেছিল বসুন্ধরা কিংসের কাছে। এবার মোহােমেডানের লক্ষ্য ছিল, সেই হারের প্রতিশোধ নিয়ে নিজেদের ঘরে না থাকা এই ট্রফিটি যোগ করার। ১-১ গোলে সমতায় প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার পর মোহামেডানের সামনে দারুণ সুযোগ এসেছিল ৬৩ মিনিটে, যখন প্রতিপক্ষ ১০ জনের দলে পরিণত হয়।
তাতে কী? কুমিল্লার ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে কিংস বুঝিয়ে দিয়েছে, কখনো কখনো খেলোয়াড়ের সংখ্যার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে খেলোয়ায়াড়দের কোয়ালিটি। তাই ১০ জনের দলে পরিণত হওয়ার পর কিংস গুনেগুনে ৩ গোল দিয়েছে মোহামেডানের জালে।
শেষ ১৮ মিনিটে তিনটি গোল করে মোহামেডানকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় কিংস। ৪-১ গোলে ম্যাচ জিতে মৌসুম সূচক টুর্নামেন্টের ট্রফি ধরে রাখে তারা।
৭ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্রাজিলিয়ান ডরিয়েলটনের গোলে লিড নেয় কিংস। ১৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে মোহামেডানকে সমতায় ফেরান উজবেকিস্তানের মুজাফফরভ। প্রথমার্ধেই হলুদ কার্ড দেখেছিলেন কিংসের সোহেল রানা। ৬৩ মিনিটে মাঝমাঠে মিনহাজুল রাকিবকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড (লাল কার্ড) দেখেন তিনি। এতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় কিংস।
মোহামেডান এরপর আর কোনো আক্রমণই করতে পারেনি কিংসের রক্ষণে। উল্টো একজন কম খেলোয়াড় নিয়ে মোহামেডানের ওপর চড়াও হতে থাকে কিংস। ৬৬ মিনিটে ডরিয়েলটনের হেড গোলরক্ষক সুজন হোসেন রুখে দিলেও পরের আক্রমণ থেকে ঠিকই ব্যবধান বাড়িয়ে নেন কিংসের আরেক ব্রাজিলিয়ান রাফায়েল।
৭৪ মিনিটে আবার গোল কিংসের। ডরিয়েলটনের বাড়ানো বলে গোল করেন গত মৌসুমে মোহামেডানের জার্সিতে দুর্দান্ত খেলা এমানুয়েল সানডে। ৮৬ মিনিটে ডরিয়েলটন নিজেদের দ্বিতীয় গোল করলে কিংস এগিয়ে যায় ৪-১ ব্যবধানে। ৮০ মিনিটে মোহামেডান সমর্থকরা মাঠে স্মোক ফ্লেয়ার নিক্ষেপ করলে কিছু সময় খেলা বন্ধ থাকে।
শেষ পর্যন্ত গোল আর বাড়েনি। ১০ জনের দল নিয়ে মোহামেডানকে ৪-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ চ্যালেঞ্জ কাপের শিরোপা ঘরে নেয় কিংস।
এ ম্যাচ দিয়ে বসুন্ধরা কিংসের ডাগআউটে অভিষেক হয়ে আর্জেন্টাইন কোচ মারিও কার্লোস গোমেজের। প্রথম ম্যাচেই প্রথম ট্রফি জেতার সুবাদে দারুণ অভিষেকই হলো এই আর্জেন্টাইন কোচের।
আরআই/এমএইচ/এমএস