মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যায় দায় স্বীকার সেই গৃহকর্মীর স্বামীর

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আসামি গৃহকর্মী আয়েশার স্বামী রাব্বি শিকদার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রিপন হোসেনের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক সহিদুল ওসমান মাসুম তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন। এর আগে ১০ ডিসেম্বর সকালে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার চরকয়া গ্রাম থেকে গৃহকর্মী আয়েশা ও তার স্বামী রাব্বি সিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ১১ ডিসেম্বর আয়েশার ছয় দিন ও রাব্বির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। নিহত লায়লা ফিরোজের স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৮ ডিসেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৫ ডিসেম্বর আসামি আয়েশা বাদী আজিজুল ইসলামের বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ৮ ডিসেম্বর সকাল অনুমান ৭টার সময় তিনি নিজের কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থল থেকে তিনি স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্য

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যায় দায় স্বীকার সেই গৃহকর্মীর স্বামীর

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা ও মেয়েকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আসামি গৃহকর্মী আয়েশার স্বামী রাব্বি শিকদার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রিপন হোসেনের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক সহিদুল ওসমান মাসুম তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।

এর আগে ১০ ডিসেম্বর সকালে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার চরকয়া গ্রাম থেকে গৃহকর্মী আয়েশা ও তার স্বামী রাব্বি সিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ১১ ডিসেম্বর আয়েশার ছয় দিন ও রাব্বির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নিহত লায়লা ফিরোজের স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৮ ডিসেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ৫ ডিসেম্বর আসামি আয়েশা বাদী আজিজুল ইসলামের বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ৮ ডিসেম্বর সকাল অনুমান ৭টার সময় তিনি নিজের কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থল থেকে তিনি স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে তিনি নিরুপায় হয়ে সকাল অনুমান ১১টার সময় বাসায় ফেরত আসেন। এসে দেখেন, তার স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে এবং তার মেয়ের গলার ডান দিকে কাটা।

গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেইন গেটের দিকে পড়ে আছে। তখন মেয়ের ওই অবস্থা দেখে তাকে উদ্ধার করে পরিছন্নতাকর্মী মো. আশিকের মাধ্যমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এজাহারে তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাদী আজিজুল বাসার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখতে পান, আসামি গৃহকর্মী আয়েশা সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে কাজ করার জন্য বাসায় আসেন এবং সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় তার মেয়ের একটি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যান। 

সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে বাদী নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে সকাল ৭টা ৫১ থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় তার স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি অথবা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করা হয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow