ম্যানচেস্টার সিটিতে সম্প্রতি মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখতে শুরু করেছেন পেপ গার্দিওলা। একের পর এক টানা হারের মধ্যে রয়েছে গার্দিওলার দল ম্যানসিটি। অনেক সময় গুঞ্জন ওঠে, গার্দিওলাকে কী তাহলে বিদায় করে দেবে ম্যানসিটি? যদিও এসবের মাঝেই কিছুদিন আগে দুই বছরের চুক্তি বাড়িয়েছেন তিনি সিটিজেনদের সঙ্গে। ২০২৭ সাল পর্যন্ত ম্যানচেস্টারে থাকবেন তিনি।
ম্যানসিটির সঙ্গে চুক্তি শেষ হলে কোচ গার্দিওলার নতুন ঠিকানা হবে কোনটি? কোথায় গিয়ে নোঙ্গর ফেলবেন স্প্যানিশ এই কোচ? এমন গুঞ্জনের মধ্যেই মেসিদের সাবেক কোচ জানিয়ে দিলেন, ম্যানচেস্টার সিটিই শেষ। এরপর আর কোনো ক্লাবের কোচিং করাবেন না তিনি।
কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন হঠাৎ করে? গার্দিওলা এর কারণ হিসেবে জানালেন, বয়স হচ্ছে, আগের মতো আর প্রাণশক্তি থাকবে না- এসব কারণেই ভবিষ্যৎ নিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় কোনো ক্লাব না থাকলেও কোনো জাতীয় দলের দায়িত্ব নেয়ার সম্ভাবনা ধরে রেখেছেন গার্দিওলা।
ম্যানসিটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে কী করবেন, তা নিয়েই তারকা শেফ দানি গার্সিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন সিটিকে ১৫টি ট্রফি জেতানো গার্দিওলা। ইউটিউবে প্রচারিত ওই কথোপকথনের তিনি জানান, সিটি অধ্যায় শেষ হওয়ার পর প্রিমিয়ার লিগ তো নয়ই, অন্য কোনো ক্লাবের হয়েও ডাগআউটে দাঁড়াবেন না, ‘আমি আর কোনো দলে দায়িত্ব নেব না। দূর ভবিষ্যতে কী হবে, তা নিয়ে কথা বলছি না, তবে এতটুকু বলি, ম্যানচেস্টার সিটি ছাড়ার পর অন্য কোনো দেশে গিয়ে এখন যা করছি, সেটি করব না।’
কেন, সেই ব্যাখ্যা এরপরই দিলেন গার্দিওলা, ‘ওই প্রাণশক্তি তো থাকবে না। অন্য কোথাও গিয়ে নতুন করে শুরু করা, আবারও অনুশীলনের সব প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়া- না, না, না। হয়তো কোনো জাতীয় দলে, তবে সেটি ভিন্ন ব্যাপার।’
নতুন চুক্তি শেষেই সিটি ছাড়বেন কি না, সেটি খুলে না বললেও অবসরে কী করবেন, তা ভেবেই রেখেছেন সিটিকে টানা চারবার প্রিমিয়ার লিগ জিতিয়ে রেকর্ড গড়া কোচ, ‘আমি এই অধ্যায়টাকে পেছনে ফেলে যেতে চাই, এরপর খেলতে চাই গলফ। আমার মনে হয় ছুটি নিলে আমার ভালোই হবে।’
গার্দিওলা ভবিষ্যতে কোনো জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে পারেন, এই খবরে ইংল্যান্ড ও ব্রাজিল নতুন করে তাকে কোচ হিসেবে পাওয়ার আশায় বুক বাঁধতে পারে। এই দুই দলই আগ্রহ দেখিয়েছিল তাকে নিয়ে।
আইএইচএস/