ম্যানুয়াল নয়, ওএমআরেই হবে রাকসুর ভোট গণনা: নির্বাচন কমিশনার

5 hours ago 2

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (রাকসু), সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি ও হল সংসদের ভোটগণনা হবে ওএমআর পদ্ধতিতে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কোষাধ্যক্ষ কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান রাকসু প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ নজরুল ইসলাম।

এর আগে ম্যানুয়াল ভোট গণনার দাবিসহ ১২ দফা প্রস্তাব দিয়েছিল ছাত্রদলসহ দুটি প্যানেল।

এসময় ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী শেখ নূর-উদ্দীন আবীর বলেন, ‘ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগণনা করা হলে কারচুপি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা চাই, দীর্ঘদিন পর যেহেতু নির্বাচন হচ্ছে, তাই নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। আমরা স্বচ্ছ ভোট বাক্স স্থাপন, ম্যানুয়ালি ভোটগণনাসহ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এ ১২ দফা দাবি জানিয়েছি। ডাকসু ও জাকসুতে নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক হয়েছে আমরা চাই না রাকসুতে এ বিতর্ক হোক। ভোটার সংখ্যা বেশি হলে আপনারা জনবল বাড়িয়ে ভোটগণনা করবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কী জনবলের অভাব?

ছাত্র অধিকার পরিষদের ভিপি প্রার্থী মেহেদী মারুফ বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনে দেখেছি ইভিএমের মাধ্যমে কীভাবে ভোট কারচুপি করা হয়, রাকসুতেও এমন হতে পারে। এছাড়াও ইভিএম এ ক্যারিক্যাচার করার মাধ্যমে ভোট কারচুপি হতে পারে। আমরা চাই, প্রশাসন বেশি জনবল নিয়োগ করে ম্যানুয়ালি ভোটগণনা করুক।’

এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যানুয়ালি ভোটগণনা নিয়ে তারা কী রকম সমস্যায় পড়েছে সেইটা আমরা দেখেছি। ছাত্রদলসহ দুটি সংগঠন ম্যানুয়ালি ভোট গণনার দাবি জানালেও তা সম্ভব নয়। কারণ, রাকসু, সিনেট ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০৫ জন। হাতে গণনা করলে নির্বাচনের ফলাফল পেতে কয়েক দিন সময় লাগবে। তাই ওএমআর শিটে ভোটগ্রহণ হবে এবং ফলাফল গণনা করা হবে ওএমআর মেশিনে।’

এবার রাকসুতে মোট ভোটার ২৮ হাজার ৯০৫ জন। এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ রাকসুতে ২৪৮ জন ও সিনেটে ৫৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রাকসুতে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৪ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী হয়েছেন। এছাড়া হল সংসদে ৬০০ জন প্রার্থী রয়েছেন।

মনির হোসেন মাহিন/আরএইচ/জেআইএম

Read Entire Article