মৎস্যজীবী দলের নেতাকে তুলে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর

2 months ago 5
পিরোজপুরের নেছারাবাদে জসিম হাওলাদার (৩০) নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখমের ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগের তীর উঠেছে মো. কিসলু সিকদারের বিরুদ্ধে। বর্তমানে তিনি বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে (শেবাচিম) চিকিৎসাধীন। বুধবার (১১ জুন) রাতে উপজেলার গুয়ারেখা ইউনিয়নের রাজবাড়ী বাজারে পুলিশের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী জসিম গুয়ারেখা ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক। আহত জসিম হাওলাদারের ভাই মো. অসীম হাওলাদার জানান, তার ভাই একজন মাছ ব্যবসায়ী৷ পাটিকেলবাড়ি গ্রামের কিসলু সিকদার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। কিসলু, শফিক, নাঈম, শামিমসহ ২০-২৫ জন দা, লাঠি ও রড নিয়ে বাজার থেকে জসিমকে ধরে নিয়ে যায়। পরে তার দুই হাত পা বেঁধে দা দিয়ে পিঠে ও মুখের পাশে কোপায়। এ সময় সঙ্গে থাকা অন্যরা তাকে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। গুয়ারেখা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাজিব মৃধা বলেন, কিসলু সিকদার মূলত স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোক। তিনি আওয়ামী লীগ আমলে এলাকায় অনেক সন্ত্রাসী কার্যক্রম করেছেন। কিসলু ফেসবুকে বিএনপি, ছাত্রজনতার আন্দোলন নিয়ে ধারাবাহিক বাজে মন্তব্য করেছে। এ নিয়ে তাকে কয়েকবার সাবধান করা হয়েছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিসলু, তার ভাই শফিক, নাঈমসহ ২০-২৫ জনের একটি বাহিনী রামদা, রড ও লাঠি নিয়ে এসে আমাদের মারতে আসে। আমাদের না পেয়ে ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সভাপতি জসিমকে ধরে নিয়ে রামদা দিয়ে কুপিয়েছে। গুয়ারেখা ইউপি চেয়ারম্যান মো. গাজী মিজানুর রহমান বলেন, শুনেছি কিসলু সিকদার জসিমের ওপর হামলা চালিয়েছে। তার বিচার হওয়া দরকার। নেছারাবাদ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. মিরাজুল ইসলাম বলেন, আহত জসিমের মুখের পাশে কাটা দাগ, ঠোট নাক ফুলা। তার পিঠে বড় তিনটি ক্ষতের চিহ্ন দেখা গেছে। ক্ষতগুলো ফুসফুসের কাছাকাছি যেতে পারে তাই গুরুতর মনে করে তাকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মো. কিসলু সিকদারের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া গেছে। নেছারাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. বনি আমিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়েছিল। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Read Entire Article