ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনের (৩২) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) বাদ মাগরিব নিহতের নিজ বাড়ি উপজেলার ৬ নম্বর সদর ইউনিয়নের মধ্য ভাটিপাড়া গ্রামে জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে এদিন জুমার নামাজের পর গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সাংবাদিক তুহিনের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী, উপজেলা ও জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এরপর মরদেহবাহী গাড়িটি নিহতের নিজ বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সন্ধ্যার দিকে গাড়িটি উপজেলার মধ্য ভাটিপাড়া গ্রামে এসে পৌঁছায়। এসময় নিহতের পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙে পড়েন। তখনও আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
নিহত মো. আসাদুজ্জামান তুহিনের বৃদ্ধ বাবা মো. হাসান জামিল বলেন, আজকে (৮ আগস্ট) তুহিন বাড়িতে আসার কথা ছিল। সে এসেছে ঠিকই, কিন্তু জীবিত অবস্থায় আসতে পারেনি। তার নিথর দেহটা এসেছে। এই কষ্ট মেনে নিতে পারছি না। আমার ছেলে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের উপযুক্ত বিচার চাই।
হাসান জমিলের ৫ ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে কনিষ্ঠ ছেলে তুহিন। ২০০৫ সাল থেকে গাজীপুরের চান্দনা এলাকায় স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছিলেন তিনি। সেখানে দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি ছিলেন আসাদুজ্জামান তুহিন। সাংবাদিকতার পাশাপাশি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির কাজ করতেন।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা মোড় এলাকায় সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে, জনসম্মুখে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই সিসি ক্যামেরার একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় সাংবাদিক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
কামরুজ্জামান মিন্টু/এমএন