ময়মনসিংহে স্বস্তি ফিরেছে সবজি-মাছে

2 hours ago 2

ময়মনসিংহের বাজারে কমেছে সব ধরনের সবজির দাম। বেশিরভাগ সবজি অর্ধেক দামে বিক্রি হচ্ছে। মাছের দামও নিম্নমুখী। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, শীতে সবজিতে বাজার ভরপুর। কয়েকদিনের মধ্যে দাম আরও কমে আসবে। বাজারে মাছেরও ঘাটতি নেই। ফলে মাছের দামও নিম্নমুখী।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ময়মনসিংহ শহরের গাঙ্গিনারপাড় এলাকায় ঐতিহ্যবাহী মেছুয়া বাজার ঘুরে দেখা যায়, দুই মাস আগে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচ দাম কমে এখন ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি করলা ৫০ টাকা, ফুলকপি ১৫ টাকা, পাতাকপি ৩০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ১৫ টাকা, মটরশুঁটি ১২০ টাকা, গাঁজর ১৪০ টাকা, কাঁচকলা ২৫ টাকা, মুলা ১৫ টাকা, শসা ৩০ টাকা, পেঁয়াজ পাতা ৩০ টাকা, কুমড়া ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা ও কচুরলতি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বড় আলু ৫০ টাকা ও ছোট দেশি আলু ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে মাছের সরবরাহ বাড়ায় দাম কিছুটা নিম্নমুখী। মাছ ভেদে কেজিতে ১০ থেকে ২৫ টাকা কমে প্রতি কেজি পাঙাস বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, টেংরা ৩৫০ টাকা, চান্দা ২৮০ টাকা, পাবদা ৩৮০ টাকা, বড় রুই ২৪০ টাকা, শিং ৩০০ টাকা, শোল ৫০০ টাকা, দেশি পুঁটি ২০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০ টাকা, রাজপুঁটি ১৭০ টাকা, মৃগেল ২১০ টাকা, বাউশ ৩০০ টাকা, মলা ৩৯০ টাকা, মাঝারি কাতল ৩০০ টাকা ও টাকি ৩৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে অপরিবর্তিত অবস্থায় খোলা আটা ৪০ টাকা, প্যাকেট ৫০, ছোলা বুট ১২০, খেসারি ১২০, মটর ৭০, মুগডাল ১৭০, ভাঙা মাসকলাই ৯০, মাসকলাই ১৩০, বুটের ডাল ১৩০, দেশি মসুর ১৩০, মোটা মসুর ১১০, চিনি ১২০, দেশি পেঁয়াজ ৫০, দেশি রসুন ২৪০, চায়না রসুন ২১০ ও ভারতীয় আদা ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭৫, খোলা সয়াবিন তেল ১৮৪ ও পাম ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ময়মনসিংহে স্বস্তি ফিরেছে সবজি-মাছে

বাজারে নূরুল আমিন নামে এক ক্রেতা বলেন, দাম অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। বাজারে কোনো নিত্যপণ্যের ঘাটতি নেই। প্রশাসনের নিয়মিত তদারকি থাকলে দাম আরও কমে আসবে। এতে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের লোকজন স্বস্তি পাবে।

জালাল উদ্দিন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে। তাই বেশি করে কিনে নিয়েছি। তবে মাছের দাম কিছুটা কমলেও এখনো নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আসেনি। অসাধু পাইকারি বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করতে না পারলে সারাবছরই ন্যায্যমূল্যে সবকিছু বিক্রি হবে।

মাছ বিক্রেতা হৃদয় হোসেন বলেন, মাছের দাম কিছুটা কমেছে। সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমে আসবে। তবে শীতের প্রকোপ বাড়ার কারণে অনেক খামারি পুকুর থেকে মাছ তুলে পাইকারদের কাছে বিক্রি করছে না।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস সালাম বলেন, ন্যায্যদামে সবকিছু বিক্রি হলে ক্রেতারা স্বস্তিতে থাকে। বাজারগুলোতে আমাদের তদারকি রয়েছে। সিন্ডিকেট করে কোনো পণ্যের দাম বাড়ানো হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কামরুজ্জামান মিন্টু/এফএ/এমএস

Read Entire Article