বিশ্বজুড়ে ২০২৪ সালে যক্ষ্মা (টিবি) রোগে ১২ লাখ ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে আগের বছরের তুলনায় এ সংখ্যা ৩ শতাংশ কমেছে। বুধবার (১২ নভেম্বর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারির পর এই প্রথম যক্ষ্মা সংক্রমণ ও মৃত্যুহার একসঙ্গে হ্রাস পেয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে রেকর্ডসংখ্যক ৮৩ লাখ মানুষ নতুনভাবে শনাক্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। এছাড়াও যক্ষ্মা চিকিৎসায় সফলতার হারও বেড়েছে। এ হার ৬৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
তবে ডব্লিউএইচও সতর্ক করেছে, আন্তর্জাতিক সহায়তার ঘাটতির কারণে এই অগ্রগতি বিপন্ন হতে পারে। ২০২৪ সালে যক্ষ্মা প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ ও চিকিৎসার জন্য মাত্র ৫৯ লাখ মার্কিন ডলার বরাদ্দ পাওয়া গিয়েছিল।
ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক টেডরস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, যক্ষ্মা প্রতিরোধযোগ্য ও নিরাময়যোগ্য রোগ হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবছর এক মিলিয়নের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
তিনি আরও জানান, অগ্রগতি আনন্দের হলেও এটি এখনো বিজয় নয়।
ডব্লিউএইচওর তথ্যমতে, ২০১৫ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে যক্ষ্মাজনিত মৃত্যুহার ২৯ শতাংশ কমেছে। তবে ২০২৫ সালের মধ্যে এটি ৭৫ শতাংশ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয় বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ডব্লিউএইচওর টিবি, এইচআইভি ও সংশ্লিষ্ট সংক্রমণ বিভাগের পরিচালক তেরেজা কাসায়েভা সতর্ক করে বলেন, দীর্ঘমেয়াদি দাতা সংস্থার তহবিল হ্রাস অব্যাহত থাকলে ২০২৫ থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ২০ লাখ মানুষের মৃত্যু এবং এক কোটি মানুষ নতুনভাবে আক্রান্ত হতে পারেন।
সংস্থাটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে ডব্লিউএইচও থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার পর মোট বাজেটে ২১ শতাংশ কাটছাঁট করতে হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিদেশি সহায়তা বিশেষ করে ইউএসএইডের তহবিল কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় যা বিশ্বব্যাপী যক্ষ্মা চিকিৎসা কার্যক্রমে নতুন সংকট তৈরি করেছে।
সূত্র : আল-জাজিরা
কেএম

2 hours ago
4








English (US) ·