যমজ মুসফিকা ও মাখনুন পড়বেন মেডিকেলে, পরিবারে আনন্দের বন্যা

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের রামপুর গ্রামের মশিউর রহমান ও নাজমুন নাহার দম্পতির ঘরে এখন বইছে আনন্দের বন্যা। তিন কন্যা সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা যেন এক ধাক্কায় দূর করে দিলেন যমজ মেয়ে মোছা. মুসফিকা নাসনিন ও মোছা. মাখনুন আখতার। গ্রামের অজপাড়া গাঁ থেকে উঠে এসে একই সঙ্গে দুজনেই পেয়েছেন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ। দুই বোনের এ অনন্য সাফল্যে শুধু পরিবার নয়, আনন্দে ভাসছে পুরো এলাকা। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মুসফিকা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এবং মাখনুন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে যমজ দুই বোন। এরপর ভর্তি হন সেতাবগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি উত্তীর্ণ হয়ে তারা বড় বোনের সঙ্গে দিনাজপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হন। কলেজ জীবনেও নিয়মিত অধ্যয়ন ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলভাবে এইচএসসি পাস করেন তারা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুরারীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. মশিউর রহমান ও গৃহিণী নাজমুন নাহারের সংসারে রয়েছে তিন কন্যা সন্তান। বড় মেয়ে বর্তমানে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্সে অধ্যয়নরত। ছোট যমজ

যমজ মুসফিকা ও মাখনুন পড়বেন মেডিকেলে, পরিবারে আনন্দের বন্যা

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জের রামপুর গ্রামের মশিউর রহমান ও নাজমুন নাহার দম্পতির ঘরে এখন বইছে আনন্দের বন্যা। তিন কন্যা সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা যেন এক ধাক্কায় দূর করে দিলেন যমজ মেয়ে মোছা. মুসফিকা নাসনিন ও মোছা. মাখনুন আখতার। গ্রামের অজপাড়া গাঁ থেকে উঠে এসে একই সঙ্গে দুজনেই পেয়েছেন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ। দুই বোনের এ অনন্য সাফল্যে শুধু পরিবার নয়, আনন্দে ভাসছে পুরো এলাকা।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মুসফিকা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এবং মাখনুন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে যমজ দুই বোন। এরপর ভর্তি হন সেতাবগঞ্জ সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এসএসসি উত্তীর্ণ হয়ে তারা বড় বোনের সঙ্গে দিনাজপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হন। কলেজ জীবনেও নিয়মিত অধ্যয়ন ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলভাবে এইচএসসি পাস করেন তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুরারীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. মশিউর রহমান ও গৃহিণী নাজমুন নাহারের সংসারে রয়েছে তিন কন্যা সন্তান। বড় মেয়ে বর্তমানে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্সে অধ্যয়নরত। ছোট যমজ দুই মেয়ে পেলেন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ।

স্থানীয় বাসিন্দা হাসমত আলী বলেন, আমাদের গ্রামে দুই বোন একসঙ্গে মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়ে, আমাদের খুবই ভালো লাগছে। দোয়া করি, তারা বড় হয়ে গরীব ও অসহায় মানুষদের কল্যাণে যেন কাজ করতে পারে।

মুসফিকা ও মাখনুনের মা নাজমুন নাহার বলেন, ৩ মেয়েকে নিয়ে কখনও দুশ্চিন্তা করি নাই, যেভাবেই হোক তাদের লেখাপড়া চালিয়ে গিয়েছি। আজ আমার যমজ দুই মেয়ে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সুযোগ পেয়েছে। আপনারা দোয়া করবেন।

বাবা মশিউর রহমান বলেন, ছোট বেলা থেকে ৩ বোনকে আমি খুবই চিন্তা করতাম। তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তারা বড় হয়ে কী করবে? তবে এখন ৩ জনের মধ্যে ২ জন ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাওয়ায় আমার চিন্তা অনেকটা কমে গেছে। আমি দেশবাসীর কাছে তাদের জন্য দোয়া চাই।

এর আগে গত শুক্রবার সারা দেশে একযোগে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার ফলাফলে মোছা. মুসফিকা নাসনিন ১২৩১ ক্রমিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে ও মোছা মাখনুন আখতার ৬৬০ ক্রমিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

এমদাদুল হক মিলন/কেএইচকে/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow