যমুনা অভিমুখী প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ৬

7 hours ago 4

তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টাকালে আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় এক সাংবাদিকসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজন বুয়েট শিক্ষার্থী।

আহতরা হলেন—বুয়েট শিক্ষার্থী নাবিদ (২১), শাহাদাৎ (২২), নাভিদ (২১), রিজন (২৩) ও হাসান (২২) এবং নিউ নেশন পত্রিকার সাংবাদিক আলম শরীফ শিমুল (৩২)।

আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শনিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।

যমুনা অভিমুখী প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ৬

জানা যায়, দুপুর দেড়টার পর আন্দোলনরত প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে যাওয়ার চেষ্টা করলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। এসময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান দিয়ে পানি ছোড়ে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।

ঢামেক হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আহতদের মধ্যে দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। চারজন জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন।

যমুনা অভিমুখী প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ৬

জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জাগো নিউজকে জানান, এ পর্যন্ত সাংবাদিকসহ ছয়জন ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে আহত হয়ে এসেছেন। তাদের মধ্যে দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যরা চিকিৎসাধীন আছেন।

এদিন পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শাহবাগের মূল সড়কে অবস্থান নেন। এতে শাহবাগ ও আশপাশের সব সড়ক অচল হয়ে পড়ে। দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে অগ্রসর হলে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন।

যমুনা অভিমুখী প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জে আহত ৬

এর আগে তিন দফা দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার পাঁচ ঘণ্টা শাহবাগ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। রাত আটটার পর তারা শাহবাগ ছাড়েন।

শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে—ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নামের আগে ‘প্রকৌশলী’ লিখতে না দেওয়া; ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাউকে পদোন্নতি দিয়ে ৯ম গ্রেডে উন্নীত না করা এবং ১০ম গ্রেডের চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে স্নাতক প্রকৌশলীদের সুযোগ দেওয়া।

কাজী আল-আমিন/এমকেআর/এমএস

Read Entire Article