যশোর মুক্ত দিবসে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার প্রত্যয়

বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয়ে যশোর মুক্ত দিবস উদযাপিত হয়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিনভর নানান কর্মসূচিতে দিবসটি উদযাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে এদিন সকালে ঐতিহাসিক টাউন হল মাঠের স্বাধীনতা মঞ্চের সামনে থেকে বিজয় র‌্যালি বের করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। এরপর বেলুন, ফেস্টুন ও কবুতর উড়িয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহম্মদ আশেক হাসান। র‌্যালিটি টাউন হল মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রফিকুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কমলেশ মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইরুফা সুলতানা, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন দাস, জয়তী সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক অর্চনা বিশ্বাসসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। র‌্যালির উদ্বোধনকালে বক্তারা বলেন, ১৯৫২ সালে আমরা পেয়েছিলাম আমাদের মাতৃভাষা আর ১৯৭১-এ মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের

যশোর মুক্ত দিবসে বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার প্রত্যয়

বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয়ে যশোর মুক্ত দিবস উদযাপিত হয়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দিনভর নানান কর্মসূচিতে দিবসটি উদযাপন করা হয়।

দিবসটি উপলক্ষে এদিন সকালে ঐতিহাসিক টাউন হল মাঠের স্বাধীনতা মঞ্চের সামনে থেকে বিজয় র‌্যালি বের করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। এরপর বেলুন, ফেস্টুন ও কবুতর উড়িয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহম্মদ আশেক হাসান। র‌্যালিটি টাউন হল মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে।

র‌্যালিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক রফিকুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) কমলেশ মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইরুফা সুলতানা, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাধন দাস, জয়তী সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক অর্চনা বিশ্বাসসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

jagonews24

র‌্যালির উদ্বোধনকালে বক্তারা বলেন, ১৯৫২ সালে আমরা পেয়েছিলাম আমাদের মাতৃভাষা আর ১৯৭১-এ মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দিয়েছেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। তা রক্ষায় আমাদের সর্বদা ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা বৈষম্যহীন সমাজ ও ইনসাফের রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে।

বক্তারা আরও বলেন, একাত্তরে যশোর থেকে প্রথম বিজয়ের সূচনা হয়েছিল। বিজয় ছিনিয়ে আনতে যশোর যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল তা যশোরবাসীকে গর্বিত করে।

বিকেলে টাউন হল মাঠে যশোরের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নানান পরিবেশনায় যশোর মুক্ত দিবস উদযাপন করে। দেশাত্ববোধক গান ও জাতীয় সঙ্গীতের পর সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা পদযাত্রা করেন। পদযাত্রা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়।

মিলন রহমান/এমকেআর

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow