যশোর ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগরে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের রিপোর্টার জিয়াউল হক ও ক্যামেরাপার্সন শরীফ বাঙালিকে মারধর করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় ক্যামেরা ভাঙচুর ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় তারা।
বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে।
সাংবাদিক জিয়াউল হক জানান, ঝিকরগাছার কৃষ্ণনগর এলাকার মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার প্রভাব খাটিয়ে একাধিক জমি দখল, মারপিট, নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও বিসিএস ৩৭ ব্যাচে পুলিশের এএসপি হওয়া ফখরুল ইসলাম চাকরি পাওয়ার পর তাদের দাপট আরও বৃদ্ধি পায়। বিগত ১০ বছরে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে মকবুল ও ফখরুল কয়েক গুণ জমি দখল করে।
এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বেলা দেড়টার দিকে কৃষ্ণনগর এলাকায় মকবুল ও এএসপি ফখরুলের লেলিয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীরা এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঝিকরগাছা থানার ওসি বাবলুর রহমান খান জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এ ঘটনায় সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে প্রেস ক্লাব যশোরের নেতারা। প্রেস ক্লাব যশোরের সাধারণ সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান জানান, যে দুজন সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে; তারা পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য ঝিকরগাছাতে গিয়েছিলেন। সেখানে দুর্বৃত্তচক্র তাদের ওপর হামলা করে। একই সঙ্গে ক্যামেরা ভাঙচুর ও তাদের আটকে রাখে। আমরা মনে করি, ৫ আগস্টে যে গণঅভ্যুত্থান হলো, তার মূল লক্ষ ছিল বাকস্বাধীনতা ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা গড়া। গত সরকারের সময়ের দাপটশালী কর্মকর্তারা এখনও প্রভাবশালী, সেই শক্তিগুলো এখনও সচল।
তিনি বলেন, পটপরিবর্তন হলেও, পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি পরিবর্তন হয়নি; এটা তার উদাহরণ। আমরা এই ঘটনায় নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।