যশোর জেলা বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি পদে অ্যাডেভাকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) যশোর টাউন হল ময়দানে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলরদের ভোটে তারা নির্বাচিত হন। এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রবিউল ইসলাম, মনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, শহিদুল বারী রবু।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে এই ফলাফল ঘোষণা করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান।
ফলাফল ঘোষণার আগে আমান উল্লাহ আমান নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ফলাফলে কে নির্বাচিত হলো, কার ভোটে কে নির্বাচিত হলো সেটা দেখা যাবে না। একমাত্র বিএনপিই গণতান্ত্রিক পন্থায় বিশ্বাস করে বলেই আজ নির্বাচনের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করলো। কার ভোটে কে নির্বাচিত হলো, কে কাকে ভোট দিলো সেটা ভুলে যেতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে সবাই জিয়ার সৈনিক। সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে দলের জন্য কাজ করতে হবে। বিগত আন্দোলনে যেভাবে সবাই এক ছিলাম।’
ফলাফল ঘোষণাকালে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, জেলা বিএনপির সদ্যবিদায়ী আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দীর্ঘ ১৬ বছর পর শনিবার বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে স্থানীয় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর বেলা দুইটা থেকে শহরের টাউন হল ময়দানের আলমগীর সিদ্দিকী হলে কাউন্সিলরদের গোপন ভোটের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ঘোষিত নির্বাচন কমিশন। সেখানে আট উপজেলার ১৬টি ইউনিটে এক হাজার ৬১৬ ভোটার ভোটারের মধ্যে এক হাজার ৪৮৫ জন ভোট প্রদান করেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ যশোর জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৯ সালে। সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের ১০ বছর পর ২০১৯ সালের ২০ এপ্রিল যশোর জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। ওই কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে বলা হলেও পেরিয়ে যায় ৬ বছর।
মিলন রহমান/এফএ/এমএস