যশোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আরও এক নেতার পদত্যাগ

1 month ago 18

কমিটিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক সজীব হোসেন।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে প্রেসক্লাব যশোরের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি পদত্যাগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে তিনি একাই উপস্থিত ছিলেন। সজীব যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

গত ২৬ নভেম্বর সংগঠনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ছয় মাসের জন্য যশোর জেলা কমিটি প্রকাশ করা হয়। এতে যশোর জেলার কমিটিতে রাশেদ খানকে আহ্বায়ক ও জেসিনা মুর্শিদ প্রাপ্তিকে সদস্যসচিব করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটি ঘোষণার পরদিন অর্থাৎ ২৭ নভেম্বর নানা অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেন যুগ্ম আহ্বায়ক-১ মাসুম বিল্লাহ। শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগ করলেন সজীব হোসেন নামে আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক।

লিখিত পদত্যাগপত্রে সজীব উল্লেখ করেন, গত ২৬ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোরের কমিটি ঘোষণা করা হয়। যেখানে চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছেন ছাত্রজনতা। আজকের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহযোদ্ধারা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু আমরা নিজেরাই ছাত্রলীগকে পুনর্বাসন করছি। যা আমাদের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানির সামিল।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সজীব হোসেন বলেন, যারা এই শহরে সরাসরি ছাত্রলীগের সভা সমাবেশে যোগদান করেছে, নেতাকর্মীদের সঙ্গে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত, তাদেরকে এই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। অথচ যারা এই বিপ্লবের সঙ্গে সরাসরি সামনে থেকে নেতৃত্বে দিয়েছে এমন অনেককেই কমিটিতে রাখা হয়নি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্টের আন্দোলনের পর কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়ন নিয়ে যশোরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মী-সমর্থকেরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যান। এর এক পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন রাশেদ খান ও অপরভাগের নেতৃত্বে ছিলেন মাসুম বিল্লাহ। সদস্য সচিবের পদ পাওয়া জেসিনা মুর্শিদ প্রথমে মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে থাকলেও পরে রাশেদ খানের পক্ষে যুক্ত হন। কমিটিতে মাসুম বিল্লাহর পক্ষের অনেকে পদবঞ্চিত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। আবার যারা পদ পেয়েছেন, তারাও কাঙ্ক্ষিত পদ পাননি। এসব কারণে কমিটির আরও অনেকের পদত্যাগের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

মিলন রহমান/এফএ/এএসএম

Read Entire Article