যাকে দায়িত্বে নিতে বললেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী

11 hours ago 2
তীব্র আন্দোলন ও বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানান দেশটির স্থানীয় নেতারা ও সেনাপ্রধান। জানা গেছে, এরপরই কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করেন। এবার তাকে নিয়ে জানা গেল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। এ আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পদত্যাগ করার আগেই সেনাবাহিনী প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছেন কেপি শর্মা এবং পরিস্থিতির অবনতিশীলতার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তাকে অনুরোধ করেছেন। প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, ওলির অনুরোধের জবাবে জেনারেল সিগডেল বলেন যে, তিনি (ওলি) ক্ষমতা ছাড়লেই কেবল সেনাবাহিনী দেশকে স্থিতিশীল করতে পারবে। সেনাবাহিনীর সূত্র আরও জানিয়েছে, কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করার পর ‘সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করতে প্রস্তুত’। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ খবর নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইতোমধ্যে, বালুওয়াতারে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে নিরাপদে বেরিয়ে আসা এবং দেশ ত্যাগের জন্য ওলি সেনাবাহিনীর সহায়তাও চেয়েছেন বলে জানা গেছে।  সূত্রের দাবি, পদত্যাগের পর ওলি চিকিৎসার অজুহাতে দুবাই যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, যেখানে বেসরকারি বিমান সংস্থা হিমালয় এয়ারলাইন্সকে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। কেপি শর্মার নেতৃত্বাধীন সরকারের মন্ত্রীদের তাদের বাসভবন থেকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কাঠমান্ডু, ললিতপুর এবং ভক্তপুরজুড়ে কারফিউ বলবৎ থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রীদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য কমপক্ষে পাঁচটি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, কাঠমান্ডুর দক্ষিণে অবস্থিত ভাইসেপতি মন্ত্রী ভবনের হেলিপ্যাড থেকে কাঠমান্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় এক ডজন সেনা হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে এবং মন্ত্রীদের ‘নিরাপদ স্থানে’ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে
Read Entire Article