ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, যারা আনুপাতিকহারে (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন চায় তাদের দেশের কোনো এলাকায় নির্বাচিত হওয়ার মতো জনসমর্থন নেই।
তিনি বলেন, ভোটে নির্বাচিত হওয়ার ফিটনেস না থাকায় তারা সারা দেশের ভোটকে একত্রিত করে সংসদে যেতে চান। তারা সমন্বিত গড়কে সামনে আনতে চান। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারবে না। পিআর পদ্ধতিতে একজন খারাপ প্রার্থীকে বয়কট করার সুযোগ জনগণের থাকবে না। তাছাড়া পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সবচেয়ে লাভবান হবে আওয়ামী লীগ।
শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা সম্বলিত লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তরের কুড়াতলি সরকার বাড়ি জামে মসজিদ, কুড়িল বিশ্বরোড ফ্লাইওভার সংলগ্ন এলাকা থেকে কর্মসূচিটি শুরু হয়ে যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে এসে শেষ হয়। এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সাধারণ মানুষ, দোকানদার, পথচারী, রিকশাচালকদের বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সালাম পৌঁছে দিয়ে হাতে লিফলেট তুলে দেন এবং কুশল বিনিময় করেন। পাশাপাশি ধানের শীষ সংবলিত লিফলেটও তুলে দেন তিনি।
এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন কর্মসূচির শুরুতে সংক্ষিপ্ত পথসভায় বলেন, আসন্ন নির্বাচনে আপনারা যদি ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে এই দেশের দায়িত্বভার দেন, তাহলে তারেক রহমান এই ৩১ দফার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করবেন। অতীতের ফ্যাসিবাদীদের মতো এ দেশে অপশাসন, দুর্নীতি, গুম খুন হবে না। সন্ত্রাসী, খুনি, চাঁদাবাজ বা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর বিএনপিতে ঠাঁই নাই।
তিনি বলেন, সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন সফল করতে হবে। চারদিকে ফ্যাসিস্ট দোসরা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তারেক রহমানের নির্দেশে যে কোনো মূল্যে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেরা করে নির্বাচন করতে হবে। এবং তারেক রহমানকে জনগণের প্রধানমন্ত্রী করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে এস এম ফজলুল হকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, ভাটারা থানা বিএনপির আহবায়ক এমএ লতিফ, দক্ষিণখান থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহাবুদ্দিন সাগর, বিমানবন্দর থানা বিএনপির সাবেক আহবায়ক জুলহাস পারভেজ মোল্লা, উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপির আহবায়ক শাহ আলম, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন খোকন, বিমানবন্দর থানা বিএনপির আহবায়ক মনির হোসেন ভূইয়া, খিলক্ষেত থানা বিএনপির সদস্য সচিব সোহরাব খান স্বপন, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলাউদ্দিন আহমেদ, উত্তরা পূর্ব থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি আমিনুল হক, খিলক্ষেত থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান, অধ্যাপক আক্তার হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক জহির বাবু, যুগ্ম আহবায়ক সৈকতুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক রানা চৌধুরী, ভাটারা থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ আহমেদ টিটো ও যুগ্ম আহবায়ক শহীদুল ইসলাম, খিলক্ষেত থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা মুরাদ, সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনির, খিলক্ষেত থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জিসান আহমেদ ও সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি সুজন, খিলক্ষেত থানা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুল মালেক, মহিলা দলের সভানেত্রী সূচনা, সাবেক সদস্য সচিব পান্না ও সদস্য সচিব সুচি, ১৭নং ওয়ার্ড সদস্য সচিব মজনু দর্জি, ৪৮ নং ওয়ার্ড আহবায়ক আব্দুল হক ভূঁইয়া ও সদস্য সচিব শেখ মনির হোসেন, ৪৩ নং ওয়ার্ড আহবায়ক দিদার হোসেন মোল্লা ও সদস্য সচিব জাকির হোসেন সহ বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।