যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলো
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করেছেন নিহতের বাবা। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানায় এ হত্যা মামলা করা হয়।
সাইফুল ইসলাম আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ৩১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া আদালতে আইনজীবী ও পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় নিহত আলিফের ভাই আরেকটি মামলা করেছেন। ১১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।
হত্যা মামলার এজহার থেকে জানা গেছে, আইনজীবী সাইফুল হত্যার অভিযোগে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন নিহতের বাবা। মামলার আসামিদের বেশির ভাগ নগরের কোতোয়ালি এলাকার সেবক কলোনির পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
এ ছাড়াও ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের ইন্ধনে আসামিরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
সাইফুল হত্যা মামলায় আসামিরা হলেন- চন্দন দাস, আমান দাস, শুভ কান্তি দাস, রনব, বিকাশ, রমিত, নয়ন দাস, গগন দাস, বিশাল দাস, ওমকার দাস, লালা, সোহেল দাশ, শিব কুমার, গনেশ, রাজ কাপুর, পপি, দেব, অজয় প্রমুখ।
পুলিশ ইতিমধ্যেই ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যাকাণ্ডের সময় কমলা রঙের গেঞ্জি ও হেলমেট পরা সেই চন্দন দাসকে মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন মহানগর ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এটি নিয়ে বিক্ষোভ করেন ইসকন অনুসারীরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা।
একপর্যায়ে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের গলিতে বিক্ষোভকারীদের হাতে খুন হন অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী ছিলেন।
বুধবার চট্টগ্রাম শহরে দুই দফা এবং লোহাগাড়া উপজেলায় দুই দফা জানাজা শেষে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফারেঙ্গা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে আইনজীবী সাইফুলকে দাফন করা হয়। অ্যাডভোকেট সাইফুল ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।