যারা দেশের উন্নয়নে কাজ করবে আমরা তাদের বুকে টেনে নেব

2 hours ago 5

কুয়েত প্রতিনিধি

বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের ওপর গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। আগের মতো বোকামি করলে আগামীর প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। সবাইকে আরও বেশি দায়িত্বশীল হতে হবে। দেশপ্রেমের পরিচয় দিতে হবে। সবাইকে বলি ব্যক্তি নয়, দল নয়, স্বার্থটা দেশের। যারা দেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করবে আমরা তাদের বুকে টেনে নেব।

চারদিনের কুয়েত সফর শেষে শুক্রবার এক প্রীতি সমাবেশে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন। সন্ধ্যায় আরদিয়া সানাইয়া এলাকায় কুয়েতে বাংলাদেশ কুরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শফিকুর রহমান বলেন, যদি আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেন মালিক নয়, আমরা হবো জাতির খাদেম। কে হিন্দু কে মুসলিম কে কোন দল করে দেখবো না। আমরা দেখবো সে বাংলাদেশি কি না। অনেকেই বলেন বিশ্বের অন্য দেশ এটা পছন্দ করবে কি না? বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে অনুরোধ করব তারা তাদের দেশকে পছন্দ করুক। তবে হ্যাঁ, আমরা সবার ভালোবাসা চাই। যারা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবে আমরা তাদের বুকে জড়িয়ে নেব। জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে যারা সহযোগিতা করবে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতা থাকবে।

৫৩ বছর যারাই দেশ পরিচালনা করেছে তারা জাতিকে সম্মান করতে পারেনি। তারা যখনই ক্ষমতায় গেছে সেবকের পরিবর্তে অনেকেই মালিক হয়ে বসে ছিল বলে মন্তব্য করেন জামায়াত আমির।

যারা দেশের উন্নয়নে কাজ করবে আমরা তাদের বুকে টেনে নেব

প্রবাসীদের অভিযোগ শুনে জামায়াতের আমির বলেন, আমি যেই দেশেই যাচ্ছি সেই দেশে কষ্টের হাহাকার শুনতে পাচ্ছি। সময়মতো পাসপোর্ট পাই না। বাড়তি খরচ করতে হয়। একে দিতে হয় ওকে দিতে হয়। যেন করুণার পাত্র। আবার কেউ মারা গেলে মরদেহটা সহজে দেশে নেওয়া যায় না। অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। এদিক-ওদিক দৌড়াতে হয়। অনেকেই বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করে ন্যায্য পাওনা পায় না। দূতাবাস আমার পাশে দাঁড়ায় না। তাহলে দূতাবাসের কাজটা কী?

তিনি বলেন, দূতাবাস হচ্ছে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করা একটা প্রতিষ্ঠান। দূতাবাস যদি প্রবাসীদের বিভিন্ন দুঃখ কষ্ট সমস্যা না দেখে তাহলে দরকার নাই। প্রবাসীরা ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে, বাধাগ্রস্ত হলে এদেশের সরকারকে বুঝিয়ে সেটা আদায় করা উচিত। আমরা বিভিন্ন জাগায় দেখছি দূতাবাস সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছে না। এভাবে চলতে পারে না।

এমআরএম/এএসএম

Read Entire Article