যারা ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টারত তাদের ঘৃণাভরে ধিক্কার জানাই

1 month ago 7

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম বলেছেন, এত ত্যাগ, এত রক্ত, এত জীবন দেওয়ার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল আর কোনো স্বৈরাচার, ফ্যাসিস্ট, টাকা পাচারকারী, আয়নাঘর তৈরির কারিগরের জন্ম যেন না হয়। আমরা ঘৃণাভরে ধিক্কার জানাই সেসব ক্ষমতালোভীদের, যারা চাঁদাবাজির মাধ্যমে, স্ট্যান্ড দখল, জায়গা দখল করে নতুনভাবে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টারত।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে দিনব্যাপী আয়োজনে গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, আয়নাঘরের কারিগর, গুম-খুন, হত্যার দোসর খুনি হাসিনা ২৪-এর এই দিনে দেশ থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে। তাদের উৎখাতে ছাত্র-জনতা দেশের সব অলিগলিতে আওয়াজ তুলেছিল, আবু সাঈদ দুহাত উঠিয়ে বুক পেতে দিয়েছিল, এমনকি মা-বোনেরা পর্যন্ত রাস্তায় নেমেছিল। মুগ্ধের ‘পানি লাগবে’ সেই আওয়াজ এখনো কানে ভাসে।

তিনি আরও বলেন, তারা কি শিশুদের আর্তচিৎকার শুনতে পায়নি? হাজার হাজার মায়ের কোল খালি হয়েছে, হাজারও মেধাবী ছাত্র শহীদ হয়েছে কি পূর্বের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য? যারা বিগত দিনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, তাদেরকে দেশবাসী পুনরায় ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

মুফতী রেজাউল করীম বলেন, এদেশ আমার, এদেশকে সুন্দর করার দায়িত্বও আমার। আসুন সবাই মিলে সন্ত্রাস, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজদের উৎখাত করি। চিরতরে বিদেশি তাবেদারদের কবর রচনা করি। সবাই একাকার হয়ে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নতুন করে সাজাই।

দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ বলেন, ১ বছর পূর্বে শত শত মানুষ শহীদ হয়েছিল, মানুষের চোখের পানি ঝড়েছিল, স্বপ্ন ছিল একটি সুন্দর, স্বাধীন বাংলাদেশের। আমরাও আশাবাদী ছিলাম, যারা শাহাদাত বরণ করেছেন, তাদের ক্ষমতার লোভ ছিল না, পদের লোভ ছিল না। তাদের চাওয়া ছিল দেশের মানুষ যেন ভাল থাকে। আসুন সবাই মিলে দেশটাকে ভালোভাবে গড়ি। কিছু মানুষ চাচ্ছে দ্রুত চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিকে বৈধতা দেওয়ার জন্য। ফ্যাসিস্টদের প্রেতাত্মাদের মধ্যে পিআর-এর কোনো অনুভূতি জাগ্রত হয় না।

অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন এ সময় বলেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে জনআকাঙ্ক্ষার সঞ্চার হয়েছে। পীর সাহেব চরমোনাইয়ের নেতৃত্বে রাষ্ট্রের আমূল পরিবর্তন হবে। মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত হবে। সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়ার প্রতিফলন ঘটবে।

আরএএস/এএমএ/জেআইএম

Read Entire Article