যারা বলছেন বন্দর গেলো তাদের দেখিয়েছি- বন্দর আর টার্মিনাল এক নয়

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, যারা বলছেন (চট্টগ্রাম) বন্দর গেলো, বন্দর দিয়ে দিয়েছে- আমরা আইন দিয়ে দেখিয়েছি, বন্দর এবং বন্দরের টার্মিনাল আলাদা জিনিস। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর হলো বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফলাইন। সেই লাইফলাইনে আমরা কত বেশি স্বচ্ছতা আনতে পারবো? এটা একটা পাবলিক পলিসি। সেই পলিসি ধরেই সরকার আগাচ্ছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি–সম্পর্কিত বিষয়ে করা রিটের ওপর রুলের রায়ের দিন ঠিক করেন আদালত। এরপর এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সরকারের জনবিরোধী কোনো এজেন্ডা নেই। আরেকটা জিনিস যারা বলছেন বন্দর গেলো, বন্দর দিয়ে দিয়েছে- আমরা আইন দিয়ে দেখিয়েছি বন্দর এবং বন্দরের টার্মিনাল আলাদা জিনিস। আইনের মধ্যে দুইটা ডেফিনেশন দেওয়া আছে। একটি টার্মিনালের অপারেশন, আমরা যা (বিদেশি ব্যবস্থাপনায়) দিতে চাচ্ছি, দেইনি এখনো। অথচ উনারা বলছেন বন্দর গেলো, বন্দর গেলো। একটা কবিতা ছিল পড়ছিলাম যে কান নিয়ে গেলো চিলে। চিলের পেছনে দৌড়াচ্ছি, পরে এসে দেখি আ

যারা বলছেন বন্দর গেলো তাদের দেখিয়েছি- বন্দর আর টার্মিনাল এক নয়

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, যারা বলছেন (চট্টগ্রাম) বন্দর গেলো, বন্দর দিয়ে দিয়েছে- আমরা আইন দিয়ে দেখিয়েছি, বন্দর এবং বন্দরের টার্মিনাল আলাদা জিনিস।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর হলো বাংলাদেশের অর্থনীতির লাইফলাইন। সেই লাইফলাইনে আমরা কত বেশি স্বচ্ছতা আনতে পারবো? এটা একটা পাবলিক পলিসি। সেই পলিসি ধরেই সরকার আগাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি–সম্পর্কিত বিষয়ে করা রিটের ওপর রুলের রায়ের দিন ঠিক করেন আদালত। এরপর এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, সরকারের জনবিরোধী কোনো এজেন্ডা নেই। আরেকটা জিনিস যারা বলছেন বন্দর গেলো, বন্দর দিয়ে দিয়েছে- আমরা আইন দিয়ে দেখিয়েছি বন্দর এবং বন্দরের টার্মিনাল আলাদা জিনিস। আইনের মধ্যে দুইটা ডেফিনেশন দেওয়া আছে। একটি টার্মিনালের অপারেশন, আমরা যা (বিদেশি ব্যবস্থাপনায়) দিতে চাচ্ছি, দেইনি এখনো। অথচ উনারা বলছেন বন্দর গেলো, বন্দর গেলো। একটা কবিতা ছিল পড়ছিলাম যে কান নিয়ে গেলো চিলে। চিলের পেছনে দৌড়াচ্ছি, পরে এসে দেখি আমার কান কানের জায়গায় আছে। আমাদের এই মামলার ক্ষেত্রে এটা যথার্থ উদাহরণ।

এর আগে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি–সম্পর্কিত প্রক্রিয়া নিয়ে করা রিট আবেদনের বিষয়ে আগামী ৪ ডিসেম্বর রায় দেবেন হাইকোর্ট। ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের এই চুক্তি–সম্পর্কিত প্রক্রিয়া প্রশ্নে রুলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায়ের এই দিন ঠিক করেন।

আরও পড়ুন
বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি প্রক্রিয়া নিয়ে রুলের রায় ৪ ডিসেম্বর 
বিশ্বে একনায়কদের তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন শেখ হাসিনা 

এ বিষয়ে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, নিউমুরিং কন্টেইনার সার্ভিসটা নিয়ে বিদেশি একটা কোম্পানির সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথাবার্তা চলছে, এটা নিয়ে গোটা জাতির সামনে একটা ভ্রান্ত ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। সেটা হলো চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমরা কোটকে বলেছি এই রিট পিটিশন কয়েকটা কারণে খারিজ হবে। প্রথমত, উনারা যেটা বলছেন ডাইরেক্ট পদ্ধতিতে দিতে পারে না। এর আগেও এটি অন্য একটা কোম্পানিকে ডাইরেক্ট পদ্ধতিতে দিয়েছিল।

‘দ্বিতীয়ত, বলেছি যে রিট তখনই হয়, কজ অব অ্যাকশন তখনই তৈরি হয়- যদি কজ অব অ্যাকশন তৈরি হওয়ার মতো ফাইনাল কোনো সিদ্ধান্ত থাকে। এই ইস্যুতে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, ভেরি প্রাইমারি স্টেজ। এই প্রাইমারি স্টেজে আমাদের এই সুপ্রিম কোর্টের অনেক জাজমেন্ট আছে যে প্রি ম্যাচিউরড স্টেজে কোনো জুডিশিয়াল রিভিউ করার সুযোগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, তৃতীয়ত, আমরা বলেছি উনাদের একটা প্রশ্ন ছিল যে বাংলাদেশি কোম্পানিকে না দিয়ে বিদেশি কোম্পানিকে কেন দেওয়া হচ্ছে? আমরা বলেছি যে আইন আমাকে অথরিটি দিয়েছে দেশি বা বিদেশি কোম্পানিকে (দেওয়া যাবে)। সুতরাং একদিকে যেমন আইনের বৃত্তের মধ্যে আছি, আরেকদিকে যেটা রুলের সেকেন্ড পার্টে বলছে কেন সরকারকে নির্দেশনা দেওয়া হবে না। পিপিপি অ্যাক্ট ২০১৫ অ্যান্ড পিপিপি রুলস ২০১৭ অনুসারে এই যে কোনো কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার জন্য তা আমরা বলেছি যে তারা তো স্ববিরোধী কথা বলছেন। আমরা যা করছি সংবিধানের মধ্য থেকে, আইনের মধ্য থেকে, পিপিপির মধ্য থেকে করছি।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, দুবাই গভর্নমেন্ট চুক্তি করতে পারে না। আজ আবার সেটা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন যে না ওটা ওনারা ভুল বলেছেন। আরেকটা হলো এই যে পিপিপি অ্যাক্টের আন্ডারে সেকশন সেভেনের আন্ডারে (চুক্তির ক্ষেত্রে) প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ থাকতে হবে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ নেই সে কারণে এই ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে না। এই রিট পিটিপিশনটি হলো ভ্রান্তনীতির ওপরে। আমরা বলেছি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে দায়িত্ব পালন করছে, এই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইজ ফাংশনিং। প্রধানমন্ত্রী যে কাজগুলো করতে পারতেন প্রধান উপদেষ্টা এবং এই ক্যাবিনেট সেই একই কাজ করছেন।

এফএইচ/কেএসআর

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow