যারা বেহেশতের টিকিট বিক্রি করে ভোট চায়, জাতি তাদের ক্ষমা করবে না

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, আজ ফ্যাসিস্ট বিদায় হয়েছে। কিন্তু তার প্রেতাত্মারা আগামী নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য ৭১-এর বিরোধীচক্রের সঙ্গে মিলে নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যারা মসজিদ-মন্দিরে গিয়ে বেহেশতের টিকিট বিক্রি করে ভোট চায়, তাদের আজকের এই অনুষ্ঠান থেকে জানিয়ে দিচ্ছি- ৭১-এর অপরাধ জাতি কোনোদিন ক্ষমা করবে না। শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শহীদ মিনারে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দল আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ফারুক বলেন, যারা এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, যারা ৭১-এ রাজাকার-আলবদরদের হাতে, মায়েদের কোলে থাকা সন্তানদের হত্যা করেছে তারা যদি আজ নতুন করে বাংলাদেশপ্রেমী হওয়ার অভিনয় করে, তাদের আমি কখনোই গ্রহণ করতে পারবো না। আমার সামনে বসে থাকা রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধারাও এটি কখনোই মেনে নেবেন না। তিনি অভিযোগ করে বলেন, যারা মসজিদ-মন্দিরে গিয়ে বেহেশতের টিকিট বিক্রি করে ভোট চায়, তাদের আজকের এই অনুষ্ঠান থেকে জানিয়ে দিচ্ছি- ৭১-এর অপরাধ জাতি কোনোদিন ক্ষমা করবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাকারীদের কি আমরা

যারা বেহেশতের টিকিট বিক্রি করে ভোট চায়, জাতি তাদের ক্ষমা করবে না

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, আজ ফ্যাসিস্ট বিদায় হয়েছে। কিন্তু তার প্রেতাত্মারা আগামী নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য ৭১-এর বিরোধীচক্রের সঙ্গে মিলে নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যারা মসজিদ-মন্দিরে গিয়ে বেহেশতের টিকিট বিক্রি করে ভোট চায়, তাদের আজকের এই অনুষ্ঠান থেকে জানিয়ে দিচ্ছি- ৭১-এর অপরাধ জাতি কোনোদিন ক্ষমা করবে না।

শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শহীদ মিনারে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দল আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

ফারুক বলেন, যারা এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, যারা ৭১-এ রাজাকার-আলবদরদের হাতে, মায়েদের কোলে থাকা সন্তানদের হত্যা করেছে তারা যদি আজ নতুন করে বাংলাদেশপ্রেমী হওয়ার অভিনয় করে, তাদের আমি কখনোই গ্রহণ করতে পারবো না। আমার সামনে বসে থাকা রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধারাও এটি কখনোই মেনে নেবেন না।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, যারা মসজিদ-মন্দিরে গিয়ে বেহেশতের টিকিট বিক্রি করে ভোট চায়, তাদের আজকের এই অনুষ্ঠান থেকে জানিয়ে দিচ্ছি- ৭১-এর অপরাধ জাতি কোনোদিন ক্ষমা করবে না। মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যাকারীদের কি আমরা ক্ষমা করতে পারি?

জামায়াতের উদ্দেশে সাবেক এই চিফ হুইপ আরও বলেন, কখনও গণভোটের কথা বলেন, কখনও বিরোধী দলের নেতা চান। এসব বাদ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিন, নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। আপনারা নির্বাচন করবেনই, কিন্তু করার আগে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চান।

বিএনপির নেতৃত্বের বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট বলেছেন- এই দেশে আর মরা মানুষের ভোট হবে না, দশটা হুন্ডা-দশটা গুন্ডার নির্বাচন হবে না। অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ফারুক বলেন, ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে যাদের মনোনয়ন দেবেন তারেক রহমান, তাদের পক্ষে গ্রামে গ্রামে গিয়ে কাজ করতে হবে।

সমাবেশে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের নেতারা বলেন, তারা ভবিষ্যতের যে কোনো অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে পাহারাদারের ভূমিকা পালন করবেন।

মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক জয়নুল আবেদিন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান,সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন মিয়া, মোহাম্মদ আনোয়ার প্রমুখ।

কেএইচ/এএমএ/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow