যুক্তরাজ্যে নির্বাচন ঘিরে আশাবাদী অভিবাসী ভোটাররা

3 months ago 21

চলতি মাসের ৪ তারিখ যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন। এতে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে যাচ্ছেন প্রথেশ পাঞ্জেকের মতো অনেক অভিবাসী। যে কোনো পরিবর্তনে তারাও অবদান রাখতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এ বারের নির্বাচনের মাধ্যমে পরিবর্তন হতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের সরকার। কারণ বিরোধী লেবার পার্টি বড় ব্যবধানে জয় পেতে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন জরিপে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ফলে ক্ষমতার আসন থেকে ছিটকে যাচ্ছে ঋষি সুনাকের কনজার্ভেটিভ পার্টি। গত ১৪ বছর ধরে দেশটি ক্ষমতায় রয়েছে দলটি।

আরও পড়ুন>

কমনওয়েলথভুক্ত দেশের অভিবাসী ও শরণার্থীরা ব্রিটিশ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। বিশেষ করে সাবেক ব্রিটিশ সম্রাজ্যের অধীনে থাকা অঞ্চলের লোকজন। যেমন নাইজেরিয়া, ভারত ও মালিয়েশিয়া।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ২৭ বছর বয়সী পাঞ্জাক যুক্তরাজ্যে আসেন। ভারতে ভোট দিতে না পারলেও এবার তিনি সেখানে ভোট দেওয়ার বিষয়ে উচ্ছ্বসিত।

তিনি বলেন, আমার দেশে অন্য দেশের নাগরিকদের ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। আমি এখানে শিক্ষার্থী ভিসায় এসেছি। তারপরেও তারা আমাদের ব্রিটিশ নাগরিকদের মতো সুবিধা দিচ্ছে।

৩৩ বছর বয়সী মালয়েশিয়ার শিক্ষার্থী তেহ ওয়েন সান বলেছেন, এখানের দুই দলের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। তবে যে দল অভিভাসীদের ক্ষেত্রে আন্তরিক হবেন তাদেরই ভোট দেবেন বলেও জানিয়েছেন এই শিক্ষার্থী।

ব্রিটেনেরে নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু অভিবাসী। ঋসি সুনাক এরই মধ্যে জানিয়েছেন, কনজার্ভেটিভ পার্টি জয়ী হলে তিনি অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা কমাতে আরও পদক্ষেপ নেবেন। কারণ বহু ব্রিটিশ ভোটার মনে করেন অভিবাসীরা তাদের ওপর চাপ তৈরি করছে।

সুনাক এরই মধ্যে ভিসানীতি কঠোর করেছেন এবং আশ্রয়প্রর্থীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর নীতিগ্রহণ করেছেন।

২০২২ সালে যুক্তরাজ্যে গেছেন ৩১ বছর বয়সী ওয়িংকানসোলা দিরিসু। তিনি লেবার পার্টিকে ভোট দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। বলেছেন, যে দলই ক্ষমতায় আসে না কেন, তারা যেনো অভিবাসন নীতি সহজ করে।

২৬ বছর বয়সী এসথার অফেম গত সেপ্টেম্বরে নাইজেরিয়া থেকে এসেছেন। যদিও তিনি ভোট দেওয়ার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি।

সূত্র: রয়টার্স

এমএসএম

Read Entire Article