যুক্তরাষ্ট্র এবং এবং ইউরোপের মধ্যে শান্তি দীর্ঘস্থায়ী করতে নিজেদের মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার তিন বছর পূর্তির প্রাক্কালে স্থানীয় সময় রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তিনি এই আহ্বান জানান।
সাম্প্রতিক সময়ে মস্কোর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্কের উন্নয়নের কারণে হতাশ হয়ে পড়ে জেলেনস্কি। এছাড়া চলতি সপ্তাহে সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার কর্মকর্তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। কারণ ওই বৈঠকে ইউক্রেনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের জন্য একটি স্থায়ী এবং ন্যায়সঙ্গত শান্তি অর্জনের জন্য আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে। এটি সব অংশীদারদের ঐক্যের মাধ্যমে সম্ভব- আমাদের সমগ্র ইউরোপের শক্তি, আমেরিকার শক্তি, যারা দীর্ঘস্থায়ী শান্তি চায় তাদের সকলের শক্তি প্রয়োজন।
এদিকে ইউক্রেনে একরাতেই আড়াই শতাধিক ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আকস্মিক হামলা চালায় মস্কো। তারপর থেকে একদিনে এটাই সর্বোচ্চ ড্রোন হামলার ঘটনা। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইগনাত জানিয়েছেন, প্রায় তিন বছর আগে যুদ্ধ শুরুর পর একরাতেই রেকর্ড ২৬৭টি ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৩৮টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনকে দেওয়া সহায়তার অর্থ ফেরত চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনকে দেওয়া সহায়তার বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ‘যেকোনো কিছু’ পেতে চায়।
- আরও পড়ুন:
- ইউক্রেনে আড়াই শতাধিক ড্রোন দিয়ে রাশিয়ার হামলা
- সমর্থনের বিনিময়ে ইউক্রেনের অর্ধেক খনিজ সম্পদ চায় যুক্তরাষ্ট্র
- খনিজ সম্পদ না দিলে ইউক্রেনে স্টারলিংক ইন্টারনেট বন্ধের হুমকি আমেরিকার
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন কনজারভেটিভ পলিটিক্যাল অ্যাকশন কনফারেন্সে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনকে দেওয়া কয়েকশ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ও অন্যান্য সহায়তার ‘প্রত্যাবর্তন’ তিনি নিশ্চিত করতে চান। এর জন্য ইউক্রেনের বিরল খনিজ সম্পদ সংক্রান্ত একটি চুক্তি ‘প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে’ রয়েছে।
তিনি দাবি করেন, ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনকে যে সহায়তা দিয়েছে, তা মূলত ঋণ হিসেবে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সেই সুবিধা পায়নি।
টিটিএন