যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত আশ্রয়প্রার্থীদের নিতে রাজি উগান্ডা

6 hours ago 3

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আশ্রয় প্রত্যাখ্যাত তৃতীয় দেশের নাগরিকদের গ্রহণে সম্মত হয়েছে আফ্রিকার দেশ উগান্ডা। তবে শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, এসব আশ্রয়প্রার্থীদের যেন কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড না থাকে ও তারা যেন একা আসা শিশু না হয়। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, চুক্তির বিস্তারিত কার্যপ্রণালি এখনো নির্ধারণের পর্যায়ে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) কাম্পালার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ভিনসেন্ট বাগিরে ওয়াইসওয়া বলেন, এটি একটি শর্তসাপেক্ষ অস্থায়ী ব্যবস্থা। আমরা আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে আফ্রিকান দেশগুলোর নাগরিকদের অগ্রাধিকার দেবো।

এদিকে, আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়। তবে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আলোচনা শেষ হয়েছে ও চুক্তি কার্যকর করার জন্য দুই পক্ষ এখন বিস্তারিত প্রক্রিয়া নির্ধারণ করছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ১৭ লাখ শরণার্থী নিয়ে উগান্ডা আফ্রিকার সর্ববৃহৎ শরণার্থী আশ্রয়দাতা দেশ। নতুন এই চুক্তির মাধ্যমে দেশটি রুয়ান্ডা ও দক্ষিণ সুদানের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন চুক্তি করা সর্বশেষ পূর্ব আফ্রিকান রাষ্ট্র হলো।

এদিকে, চুক্তির ঘোষণার একদিন আগে উগান্ডার এক শীর্ষ কর্মকর্তা গণমাধ্যমে এ ধরনের খবর অস্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িতদের গ্রহণ করার মতো অবকাঠামো উগান্ডার নেই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি ওকেলো ওরিয়েম অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান, উগান্ডার উদার শরণার্থী নীতি থাকলেও এর সীমাবদ্ধতা আছে।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, আমরা এমন সব লোকের কথা বলছি যারা নিজ নিজ দেশে অবাঞ্ছিত। আমরা কীভাবে তাদের উগান্ডার স্থানীয় সমাজে অন্তর্ভুক্ত করবো?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপকভাবে বিতাড়নের পরিকল্পনা করছে। এ প্রক্রিয়ায় তৃতীয় দেশে ফেরত পাঠানোর সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে; এমনকি, দক্ষিণ সুদান ও এসওয়াতিনির মতো দেশে অপরাধীদের পাঠানোর উদ্যোগও চলছে।

সূত্র: আল জাজিরা

এসএএইচ

Read Entire Article