যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কের জবাবে প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কানাডা। দেশটি জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি কানাডার পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন তাহলে পাল্টা পদক্ষেপ নেবে তারা।
মঙ্গলবার (০৪ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কানাডা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কের জবাবে প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর আগে কানাডা তার প্রতিবেশী দেশটির কাছ থেকে ‘অস্তিত্বের হুমকি’ আসার কথা সতর্ক করেছিল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। এ সিদ্ধান্ত কার্যকরও করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি চীন থেকে আসা পণ্যের উপর শুল্ক বাড়িয়েছেন। এর জবাবে কানাডা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত কয়েক বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করেছে। কানাডার প্রাদেশিক নেতারা আরও পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ট্রাম্প বলেছেন যে, তিনি অবৈধ অভিবাসন ও মাদক পাচার রোধ করার চেষ্টা করছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বিদেশে ভোক্তাদের জন্য দাম বাড়িয়ে দিতে পারেন।
এই তিনটি দেশ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার এবং এই পাল্টাপাল্টি ব্যবস্থা একটি বৃহত্তর বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে। কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আসা পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক ছাড়াও ট্রাম্প কানাডার শক্তির উপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন।
ট্রাম্পের দল শুল্ককে একটি মূল আলোচনার হাতিয়ার হিসেবে চিহ্নিত করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট শক্তিশালী ওপিওড ফেন্টানিলের উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ চান এবং এই ড্রাগ যুক্তরাষ্ট্রে আসার জন্য বিভিন্নভাবে অন্যান্য দেশকে দায়ী করেছেন।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, নতুন মার্কিন শুল্কের কোনো যৌক্তিকতা নেই। কারণ মার্কিন সীমান্তে আটক ফেন্টানিলের ১ শতাংশেরও কম কানাডা থেকে এসেছে।