যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য স্পষ্ট সতর্কবার্তা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা জানিয়েছে, দেশটিতে পড়তে হলে তাদের আইন মেনে চলতে হবে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি দুই ভারতীয়কে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ৩৭ বছর বয়সী রঞ্জিনী শ্রীনিবাসন নামের এক ভারতীয় শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডায় পালিয়েছেন। তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আরবান প্ল্যানিং বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনে যোগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এজন্য তার ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওই শিক্ষার্থীর দাবি, তিনি এমন কোনো আন্দোলনে যোগ দেননি। নিজেকে বাঁচাতে কানাডায় পালাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
এ ঘটনার কিছুদিন আগে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ভারতীয় শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে কাজ করছিলেন। তার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনে যোগ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এজন্য তাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে আদালতের নির্দেশে তাকে ফেরত পাঠানো যায়নি।
ভারতীয় দুই শিক্ষার্থীকের বিষয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হলেও দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। এবার সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেছে মন্ত্রণালয়। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, এ বিষয়ে একাধিকবার অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছে। ভিসা ও অভিবাসন নিয়ে প্রত্যেক দেশের নিজস্ব আইন রয়েছে। এটি তাদের সার্বভৌম বিষয়। সুতরাং বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সেই আইন মেনে চলতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ভারতের বিপুল শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে। এ বিষয়ে দেশটির সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক রয়েছে। আমরা চাই না এ সেই সুসম্পর্কে ব্যাঘাত ঘটুক।