যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ এলএনজি রপ্তানির রেকর্ড আগস্টে

2 hours ago 1

গত আগস্ট মাসে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এলএসইজি প্রকাশিত প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের মোট রপ্তানি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৩৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন, যা চলতি বছরের এপ্রিলের রেকর্ড ৯ দশমিক ২৫ মিলিয়ন টনকেও ছাড়িয়ে গেছে।

গত জুলাই মাসে দেশটির এলএনজি রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৯ দশমিক ১ মিলিয়ন টন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রবৃদ্ধির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে ভেঞ্চার গ্লোবালের প্ল্যাকুইমিন্স প্ল্যান্ট, যা বর্তমানে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম এলএনজি কেন্দ্র। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে উৎপাদন শুরু করা কেন্দ্রটি আগস্টে একাই ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন বা মোট রপ্তানির ১৭ শতাংশ সরবরাহ করেছে। এখনো পুরোপুরি নির্মাণাধীন থাকা প্ল্যান্টটির পুরো ১৮ ইউনিট সেপ্টেম্বর থেকে উৎপাদনে যুক্ত হলে রপ্তানি আরও বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন>>

প্রধান বাজার ইউরোপ

আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি রপ্তানির প্রধান গন্তব্য হিসেবে শীর্ষে ছিল ইউরোপ। এ মাসে ইউরোপে গেছে ৬ দশমিক ১৬ মিলিয়ন টন এলএনজি, যা মোট রপ্তানির প্রায় ৬৬ শতাংশ। গত জুলাইয়ে এর হার ছিল ৫৮ শতাংশ।

অন্যদিকে, এশিয়ায় রপ্তানি সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন টনে, যা জুলাইয়ে ছিল ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন।

আগস্টে ইউরোপে গ্যাসের দাম কমে দাঁড়ায় প্রতি এমএমবিটিইউ ১১ দশমিক ১৩ ডলার, আর এশিয়ায় জাপান কোরিয়া মার্কার অনুযায়ী কমে হয় ১১ দশমিক ৬৩ ডলার।

মিশরের চাহিদা বৃদ্ধি

নিজস্ব গ্যাস উৎপাদন কমে যাওয়ায় মিশর গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নয়টি চালানে মোট ০ দশমিক ৫৭ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানি করেছে, যা মোট রপ্তানির ৬ শতাংশ। জুনে দেশটি জানিয়েছিল, বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে তারা আমদানি বাড়াবে।

লাতিন আমেরিকায় পতন

আগস্টে লাতিন আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের এলএনজি রপ্তানি কমে দাঁড়ায় ০ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন টন (৭ শতাংশ), যেখানে জুলাইয়ে ছিল ১ দশমিক ০৩ মিলিয়ন টন। এ অঞ্চলে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো থেকে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা কমে গেছে।

এদিকে কানাডার পশ্চিম উপকূলে কিটিমাটে শেলের এলএনজি কানাডা প্ল্যান্ট থেকে আগস্টে পাঁচটি চালানে ০ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন রপ্তানি হয়েছে, যা জুলাইয়ের ০ দশমিক ৩ মিলিয়ন টনের তুলনায় বেশি।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগস্টে রপ্তানিকৃত মোট এলএনজির প্রায় ৪ শতাংশ বা ০ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন টনের নির্দিষ্ট কোনো গন্তব্য চিহ্নিত করা যায়নি, যা ভবিষ্যতের অর্ডারের জন্য খোলা রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: রয়টার্স
কেএএ/

Read Entire Article