যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে চীনের ‘গুয়াম কিলার’ আতঙ্ক

1 hour ago 8
চীনের সাম্প্রতিক সামরিক মহড়ায় প্রদর্শিত নতুন অস্ত্র ভীতি ছড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ গুয়ামে। প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার মানুষের বসবাস করা দ্বীপটিতে ‘গুয়াম কিলার’ নামে পরিচিত ক্ষেপণাস্ত্রটিকে কেন্দ্র করে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই গুয়ামের মানুষের কাছে চীনের সামরিক হুমকির কথা নতুন নয়। তবে বেশিরভাগ বাসিন্দার কাছে জীবনের প্রধান সমস্যা ছিল ব্যয়বহুল জীবনযাপন। কিন্তু এই মাসে বেইজিংয়ের বিশাল সামরিক কুচকাওয়াজে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচনের পর হঠাৎ করেই বিষয়টি সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা জ্যাকলিন গুজমান জানান, তিনি সাধারণত বিল পরিশোধ নিয়েই বেশি চিন্তিত থাকেন এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আস্থা রাখেন। কিন্তু নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শনের পর তার সেই আস্থা খানিকটা নড়বড়ে হয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, গুয়াম যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশলগত ঘাঁটি। যদি চীন তাইওয়ান দখলের চেষ্টা করে, তবে গুয়াম প্রথম সারির ফ্রন্টলাইন হয়ে উঠতে পারে। এজন্যই ‘গুয়াম কিলার’ ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য আধুনিক অস্ত্র প্রদর্শনকে অনেকেই গুরুতর সংকেত হিসেবে দেখছেন। অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন মেরিন অফিসার কর্নেল গ্রান্ট নিউশ্যাম সতর্ক করে বলেন, যদি চীন সময় ও স্থান নিজের মতো বেছে নেয়, তবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীকে কঠিনভাবে আঘাত করতে পারবে। তবে তিনি আরও উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি এখনও চীনের চেয়ে অনেক বেশি ও আধুনিক। গুয়ামের স্থানীয় সরকার ও মার্কিন সামরিক কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছেন, দ্বীপের প্রতিরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর এরইমধ্যেই ১.৫ বিলিয়ন ডলারের সমন্বিত আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে, যা আগামী ১০ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা। গুয়ামের সিনেটর জেসি লুজান বলেন, আমরা শান্ত ও ঐক্যবদ্ধ থাকব। সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নিতে যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। তথ্যসূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
Read Entire Article