যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পুতিনকে যে কারণে গ্রেপ্তার করা যাবে না

11 hours ago 12
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের মার্চে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আইসিসির এই পদক্ষেপকে ‘ন্যায়সঙ্গত’ বলে সমর্থন দেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য নয়। ফলে এই পরোয়ানা মার্কিন মাটিতে কার্যকর নয়। ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন আইসিসি প্রতিষ্ঠার মূল চুক্তি রোম সংবিধিতে সই করলেও, মার্কিন সিনেট তা অনুমোদন করেনি। ফলে যুক্তরাষ্ট্র কখনোই আইসিসির সদস্যপদ নিশ্চিত করেনি। এরপর ২০০২ সালে প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের আইসিসির সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেন। তার যুক্তি ছিল, এই আদালত মার্কিন সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ট্রাম্প প্রশাসনও আইসিসির বিরুদ্ধে আরও এক ধাপ এগিয়ে যায়। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ তদন্তে আইসিসির আগ্রহকে কেন্দ্র করে, ট্রাম্প সরকার আদালতের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এই প্রেক্ষাপটে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বৈধতা যুক্তরাষ্ট্রে নেই। এ কারণেই পুতিনের সঙ্গে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আজকের আলাস্কা বৈঠক কেবল কূটনৈতিক নয়, আইনিভাবে নিরাপদ স্থান বলেই বিবেচিত হতে পারে। এমনকি ২০২৩ সালের আগস্টে আইসিসি সদস্য দেশ মঙ্গোলিয়া সফরেও পুতিনকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, যদিও পরোয়ানা কার্যকরের আহ্বান জানানো হয়েছিল। দেশটি তাতে সাড়া না দিলেও কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়েনি। ফলে এটা স্পষ্ট যে আন্তর্জাতিক আইন তখনই কার্যকর হয়, যখন রাষ্ট্রগুলো তা বাস্তবায়নে আগ্রহী হয়। আর এ ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে চান, তবে তাকে আটকানোর জন্য আইনি কোনো বাধা নেই। সূত্র: বিবিসি
Read Entire Article