ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, মার্কিন সরকারের সঙ্গে আলোচনা বা সংলাপ ইরানের সমস্যাগুলো সমাধানে কোনো ধরনের সহায়তা করবে না।
তিনি বলেছেন, মার্কিন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা ইরানের জন্য যৌক্তিক, প্রজ্ঞাপূর্ণ বা মর্যাদাপূর্ণ হবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি পুনর্বহালের আদেশ-নামায় সই করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এক অনুষ্ঠানে ইরান-মার্কিন আলোচনা প্রসঙ্গে খামেনি আরও বলেছেন, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে এটা স্পষ্ট যে মার্কিন সরকারের সঙ্গে আলোচনা ইরানের কোনো সমস্যারই সমাধান করবে না, আলোচনা ইরানের সমস্যা সমাধান করতে পারে এমন ভান করাও তাদের উচিত নয়।
তিনি বলেছেন, ২০১০-এর যে দশকে দুই বছর ধরে মার্কিন সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েছিল ইরান কিন্তু এর ফল ছিল শূন্য, ইরানের পক্ষ থেকে ব্যাপক ছাড় দেওয়া সত্ত্বেও মার্কিন সরকার তার সমস্ত অঙ্গীকার অমান্য করে। ইরানের অর্থনৈতিক সংকটগুলো ও জনগণের রুটি-রুজির কোনো সমস্যাই মার্কিন সরকারের সঙ্গে আলোচনায় সমাধান হবে না, বরং এইসব সমস্যা সমাধানের পথ হলো অঙ্গীকারবদ্ধ কর্মকর্তাদের উদ্যমী প্রচেষ্টা ও ঐক্যবদ্ধ জনগণের সহযোগিতা।
তিনি এ প্রসঙ্গে স্মরণ করিয়ে দেন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কীভাবে দুই বছরের দীর্ঘ আলোচনার ফসল তথা পরমাণু সমঝোতাকে ছিন্ন-ভিন্ন করে দেন এবং এর আগেও মার্কিন সরকার সমঝোতা মেনে চলার অঙ্গীকার করা সত্ত্বেও তা মেনে চলেনি, সমঝোতা অনুযায়ী অনেক নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও সেসব নিষেধাজ্ঞা তো বাতিল করেইনি বরং জাতিসংঘের মাধ্যমে ইরানের ওপর সব সময় নিষেধাজ্ঞার খড়গ ঝুলিয়ে রেখেছে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, মার্কিন সরকারের সঙ্গে দুই বছরের আলোচনার অভিজ্ঞতা ও ইরানের পক্ষ থেকে অনেক ছাড় দেওয়া সত্ত্বেও কোনো সুফল না আসার অভিজ্ঞতাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, মার্কিন সরকার যে কেবল ওই সমঝোতা লঙ্ঘন করেই যাচ্ছিল তা নয় একইসঙ্গে ওই সমঝোতা থেকে নিজের বের হয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে, তাই এ রকম একটি সরকারের সঙ্গে আলোচনা হবে অযৌক্তিক, অসচেতনতাপূর্ণ ও অসম্মানজনক যা কখনোই করা ঠিক হবে না।
এদিকে ইরানের জ্বালানি তেল রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বিশ্ব বাজারে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে।
সূত্র: প্রেসটিভি
এমএসএম