দীর্ঘমেয়াদি শান্তি চুক্তি চায় রাশিয়া—এমন তথ্য জানিয়েছেন রাশিয়ার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক। তার মন্তব্য অনুযায়ী ইউক্রেন যুদ্ধের মূল কারণগুলো সামাল দেবে, এমন একটি দীর্ঘমেয়াদি শান্তি চুক্তি চায় বলে জানিয়েছে রাশিয়া। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত তড়িঘড়ি কোনো যুদ্ধবিরতি চায় না, যা শেষ হওয়ার পরপরই আবার দ্রুত লড়াই শুরু হয়ে যাবে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেন যুদ্ধের তিন বছরপূর্তিতে বার্তা সংস্থা আরআইএকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ জানান, মস্কো ইউক্রেন নিয়ে এমন একটি চুক্তি চাইছে, যা সময়ের পরীক্ষায় টিকে থাকবে।
আরআইএর দেওয়া উদ্ধৃতিতে রিয়াবকভ বলেছেন, ‘আমরা আমেরিকান পক্ষের দ্রুত যুদ্ধবিরতির দিকে এগিয়ে যাওয়া যথেষ্ট আস্থার সঙ্গে শনাক্ত করতে পারি। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি নিষ্পত্তি ছাড়া একটি যুদ্ধবিরতি হচ্ছে দ্রুত আবার লড়াইয়ের পথে ফিরে যাওয়া। আর সংঘাত আবার শুরু হলে তা আরও গুরুতর পরিণতি বয়ে আনবে, রাশিয়া-আমেরিকার সম্পর্কও এই পরিণতি এড়াতে পারবে না। আমরা এটি চাই না।’
এদিকে হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান এই সপ্তাহের মধ্যেই হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে দুই পক্ষের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তির আলোচনা দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
স্থানীয় সময় শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তিনি রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করতে আত্মবিশ্বাসী এবং আমরা আশা করছি, এই সপ্তাহের মধ্যেই যুদ্ধ শেষ হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত বন্ধের বিষয়ে সোচ্চার আছেন। সম্প্রতি তিনি কূটনৈতিকভাবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করেছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের উদ্যোগে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ম্যাট ওয়াল্টজ এবং অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট কিয়েভ এবং মস্কোর সঙ্গে নিবিড় আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।