পারিবারিক কলহের জেরে বাবা, মা ও ভাইয়ের হামলায় আহত বাপ্পি মিয়া (২৫) মারা গেছেন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার ইউনিভার্সাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বাবা-মাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত বাপ্পি মিয়া এক সন্তানের জনক।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাপ্পি মিয়ার সঙ্গে বাবা চান্দু মিয়ার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাবা, মামা, চাচা ও ভাই মিলে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে বাপ্পিকে রক্তাক্ত করেন।
এসময় স্থানীয় লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকায় রেফার করা হয় তাকে। পরে তাকে ঢাকার মহাখালীস্থ ইউনিভার্সাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মারা যান।
এদিকে ঢাকা থেকে মরদেহ বাড়ি নিয়ে এসে তড়িঘড়ি জানাজা শেষে দাফনের প্রস্তুতি নিলে এলাকার লোকজন পুলিশকে ঘটনাটি জানায়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
এ ব্যাপারে নাভারন সার্কেলের এএসপি নিশাদ আল নাহিয়ান বলেন, এ ঘটনায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে শার্শা থানায় আনা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
মো. জামাল হোসেন/জেডএইচ/এএসএম