যুবদল নেতা কিবরিয়াকে হত্যা, যা বললেন স্বজন ও স্থানীয়রা 

রাজধানীতে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে (৪৭) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মিরপুর ১২ নম্বর ‘সি’ ব্লকের বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি দোকানে ঢুকে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে দোকানের ভেতরে অবস্থানকালে মোটরসাইকেলে করে এসে দুর্বৃত্তরা তার মাথা, বুক ও পিঠে টার্গেট করে গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসাও উদ্ধার করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত গোলাম কিবরিয়ার বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তরে। তিনি উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ওলীপুর তালুকদার বাড়ির মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তারা ৪ ভাই ও ১ বোন। এর মধ্যে দুই ভাই ইউরোপে থাকেন। তিনি দুই কন্যাসন্তানের জনক ছিলেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে মিরপুরে জানাজা শেষে সেখানেই দাফন করা হবে। ছোটবেলা থেকে সবাই ঢাকায় বসবাস করে আসছেন।  এদিকে ছড়িয়ে পড়া দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, কিবরিয়া দোকানে ঢোকার দু–তিন সেকেন্ডের মধ্

যুবদল নেতা কিবরিয়াকে হত্যা, যা বললেন স্বজন ও স্থানীয়রা 
রাজধানীতে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে (৪৭) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মিরপুর ১২ নম্বর ‘সি’ ব্লকের বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি দোকানে ঢুকে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে দোকানের ভেতরে অবস্থানকালে মোটরসাইকেলে করে এসে দুর্বৃত্তরা তার মাথা, বুক ও পিঠে টার্গেট করে গুলি ছোড়ে। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসাও উদ্ধার করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত গোলাম কিবরিয়ার বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তরে। তিনি উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ওলীপুর তালুকদার বাড়ির মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তারা ৪ ভাই ও ১ বোন। এর মধ্যে দুই ভাই ইউরোপে থাকেন। তিনি দুই কন্যাসন্তানের জনক ছিলেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে মিরপুরে জানাজা শেষে সেখানেই দাফন করা হবে। ছোটবেলা থেকে সবাই ঢাকায় বসবাস করে আসছেন।  এদিকে ছড়িয়ে পড়া দোকানের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, কিবরিয়া দোকানে ঢোকার দু–তিন সেকেন্ডের মধ্যে কয়েকজন দুর্বৃত্ত দোকানে ঢুকে তাকে গুলি করতে শুরু করে। দুর্বৃত্তদের একজনের পরনে পাঞ্জাবি ও দুজনের গায়ে শার্ট ছিল। প্রত্যেকের মাথায় হেলমেট ও মুখে মুখোশ ছিল। এ সময় দোকানে ৯ জন ছিলেন। দুর্বৃত্তদের একজন কিবরিয়াকে গুলি করতে শুরু করলে ভয়ে দোকান থেকে আগের লোকজন বেরিয়ে যান। কিবরিয়াকে দুজন গুলি করে। এ সময় কিবরিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাদের একজন আরও তিনটি গুলি করে দ্রুত বেরিয়ে যায়।  নিহতের খালাতো ভাই মো. পারভেজ বলেন, ‘আমার ভাই খুব ভালো মানুষ ছিল। গতবছর বাড়িতে এসেছিল। সে একসময় ভালো ফুটবলার ছিল। বিএনপি করার কারণেই কয়েকবার জেল খাটতে হয়েছে। যারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ ওলীপুর গ্রামের বাসিন্দা ও মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল হাসান বেনু জানান, গোলাম কিবরিয়া ভাই ও তার ছোট ভাই কবির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে মাঝেমধ্যে গ্রামে আসতেন। সম্পর্কে তিনি আমার মামাতো ভাই। ছোটবেলা থেকেই তারা ঢাকায় থাকতেন। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও রহস্য উদঘাটনের দাবি জানিয়ে বলেন, গোলাম কিবরিয়া একজন সৎ ও নিরহংকার মানুষ ছিলেন। তার মতো মানুষকে কীভাবে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হলো তা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। আমরা পরিবারের পাশে আছি এবং এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা জড়িত তাদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানায়। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান বলেন, কিবরিয়াকে গুলি করার ঘটনায় একজন আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। রাস্তার ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হত্যাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। তাৎক্ষণিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানা যায়নি। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, গোলাম কিবরিয়া পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব ছিলেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি ছোটখাটো ব্যবসা করতেন। তার কোনো শত্রু ছিল না। তার গায়ে নয়টি গুলি লেগেছে। তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে মিরপুর সাড়ে ১১-তে ফলপট্টিসংলগ্ন ভাড়া বাসায় থাকতেন। 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow