সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার শরিফ খান যুবলীগের একজন সক্রিয়কর্মী। অথচ তাকে করা হয়েছে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জিয়া মঞ্চের উপজেলা শাখার আহ্বায়ক। এতে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
সংগঠনটির জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক খাজা ময়েন উদ্দিন ও সদস্যসচিব সিরাজুল আলম সরকার সই করা এক পত্রে চৌহালী উপজেলা শাখায় ৩১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে শরিফ খানকে আহ্বায়ক ও ইঞ্জিনিয়ার আবু মুসাকে সদস্যসচিব করা হয়।
সাবেক এমপি মমিন মন্ডলের সঙ্গে চৌহালী জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ খান
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা বিএনপির সাবেক একজন নেতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের শাসনামলে শরিফ ও তার বাবা শাহজাহান সর্দার সাবেক এমপি মমিন মন্ডলের সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে একচেটিয়া ঠিকাদারি ব্যবসাও করেছেন। আর আমরা আওয়ামী লীগের একাধিক হামলা-মামলার শিকার হয়েছি। অথচ জিয়া মঞ্চের কমিটিতে তারাই এখন বড় নেতা!’
জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক পদ পাওয়ার বিষয়ে সদ্যঘোষিত কমিটির একজন সদস্য জাগো নিউজকে বলেন, শরিফকে আহ্বায়ক করায় আমরাও সন্তুষ্ট না। কারণ সে মূলত যুবলীগের একজন সক্রিয়কর্মী। তার ধারণা, মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে তিনি এই পদ নিয়েছেন।
তবে নিজেকে বিএনপি পরিবারের সদস্য ও উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক দাবি করে শরিফ খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি ঠিকাদারি পেশায় জড়িত। এজন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মেয়রের সঙ্গে কিছু ছবি থাকতেই পারে। তার মানে এটা না যে, আমি আওয়ামী লীগ করি।’
সাবেক এমপি মমিন মন্ডলের বিশ্বস্ত সহযোগী রেজার সঙ্গে শরিফ খান
সদ্যঘোষিত কমিটির সদস্যসচিব ইঞ্জিনিয়ার আবু মুসা জাগো নিউজকে বলেন, ‘কমিটি ঘোষণার পর তাকে (আহ্বায়ক) নিয়ে কিছুটা সমালোচনা হচ্ছে। এটা আমিও জেনেছি। মূলত ঠিকাদারি পেশার কারণে আওয়ামী লীগের এমপি ও মেয়রদের সঙ্গে তার কিছুটা সখ্য ছিল। অন্য কিছু না।’
কমিটির অনুমোদনকারী জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক খাজা ময়েন উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, পতিত আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জিয়া মঞ্চের কমিটিতে পদ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। চৌহালীর ওই কমিটির আহ্বায়ক যদি যুবলীগের সক্রিয়কর্মী হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এম এ মালেক/এসআর/জিকেএস