শুরুটা ভাল হয়নি। মে মাসে আরব আমিরাতের মতো আনকোরা ও আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশের কাছে তাদের মাটিতে ১-২ ব্যবধানে সিরিজ হার। তারপর মে-জুনে পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানিদের কাছে তিন ম্যাচের সিরিজে ধবলধোলাই হলো।
ঠিক জুলাই মাসে শ্রীলঙ্কার মাটিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে শুরুতে পিছিয়ে পড়ে ২-১’এ সিরিজ জিতে দেশে ফেরা। তারপর জুলাই ও আগস্টে দেশের মাটিতে পাকিস্তান আর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সিরিজ বিজয়। পাকিস্তানের সাথে ২-১ আর ডাচদের ৩-০’তে বাংলাওয়াশ।
তারপর সেপ্টেম্বরে আরব আমিরাতে এশিয়া কাপে ভাল খেলে সুপার ফোরে গিয়েও শেষ রক্ষায় ব্যর্থ। পাকিস্তানকে বাগে পেয়েও হারাতে না পারায় ফাইনাল খেলার সুযোগ হয়েছে হাতছাড়া। সে ধাক্কা সামলে এই অক্টোবরে আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করা।
সংক্ষেপে এটাই ছিল এ বছর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের হালচাল। সংখ্যা তত্ত্বে এখন পর্যন্ত টাইগাররা এ বছর ২৩টি ম্যাচ খেলেছে। তার ১৩টিতে জিতেছে। আর ১০টিতে হেরেছে। আর সিরিজের হিসেবে এখন পর্যন্ত এ বছর টিম বাংলাদেশ ৬টি সিরিজে অংশ নিয়েছে। যার ৪টিতে জিতেছে। মোটকথা, ওয়ানডের তুলনায় এখন টি-টোয়েন্টিতে টাইগারদের সময় কাটছে ভাল। এখন দেখার বিষয় আগামী ২০২৬’র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগের সময়টা কেমন কাটে লিটন দাসের দলের?
এ বছর আর দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে লিটন দাসের দল। যার একটি শুরু হবে কাল সোমবার থেকে। তিন ম্যাচের একদিনের সিরিজ শেষে আগামীকাল ২৭ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
সবার জানা, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে টি-টোয়েন্টি ওয়ার্ল্ডকাপ। তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের পর আর একটি মাত্র সিরিজ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। সেটা আগামী মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। মোটকথা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ খুব কম।
অধিনায়ক লিটন দাস এই দুটি সিরিজকে কিভাবে মূল্যায়ন করতে চান? এ দুই সিরিজ থেকে তার প্রত্যাশাই বা কী? তার টার্গেটটাই বা কী? ভক্ত ও সমর্থকরা তা জানতে মুখিয়ে।
আজ রোববার চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে সিরিজ শুরুর আগের প্রেস কনফারেন্সে সে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে লিটন দাস পরিস্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি চান তার দল জিতুক। জয়ের ধারা অব্যাহত থাকুক।
তবে তার প্রত্যাশা হলো ক্যারিবীয় ও আইরিশদের সাথে সিরিজ দুটি হোক প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ এবং চ্যালেঞ্জিং। টাইগার ক্যাপ্টেনের অনুভব, এই সিরিজ দুটি চ্যালেঞ্জিং হলে বাংলাদেশের জন্যই ভাল। তাতে করে খেলোয়াড়রা নিজেদের প্রকৃত অবস্থান বুঝে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে নিজেদের যথাযথভাবে প্রস্তুত করতে পারবেন। একতরফা জিতে আসলে বোঝা যাবে না, দলের সমস্যা কোথায়?
লিটন দাস জানান, ‘সত্যি কথা বলতে আমি চাই এই দুটি সিরিজেই যেন আমাদের প্লেয়াররা খুব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। সেটা ব্যাটিং কিংবা বোলিং যেখানেই হোক হতে পারে। আমি চাই যে এই ছয়টা গেম থেকে যতটা আমরা পিছিয়ে থাকবো, ততটাই ভালো।’
পিছিয়ে থাকা মানে? পুরো ব্যাখ্যা দিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক বুঝিয়ে দেন, ‘আমরা ব্যাকফুটে থাকবো- বলতে আমি চ্যালেঞ্জের কথা বলতেছি। নট দ্যাট যে, আমরা খেলায় পিছিয়ে থাকবো। আমি চাই যে খেলায় আমাদের বোলার ও ব্যাটাররা যেন চাপের মধ্যে থাকে। বোলাররাও যখন বল করবে, তারা যেন আন্ডার প্রেসার থাকে। একই কথা প্রযোজ্য আমাদের ব্যাটারদের ক্ষেত্রেও। তারা ওই চাপ অতিক্রম করতে পারলে আমাদের দলের উপকার হবে। সামনে যেহেতু ওয়ার্ল্ড কাপ, সেখানে আমাদের অনেক হেল্প হবে।’
এআরবি/আইএইচএস

3 hours ago
5









English (US) ·