যে কারণে হোল্ডারের পরিবর্তে মুশফিকের হাতে বল তুলে দিলেন মিরাজ

18 hours ago 4

শেরে বাংলার মাঠ, দুই দলের ড্রেসিংরুম, ডাগআউট, গ্যালারি, গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড ও বিভিন্ন স্ট্যান্ডে টানটান উত্তেজনা। কী হয় শেষ পর্যন্ত? শেষ হাসি ফুটবে কার মুখে? ফাইনাল নিশ্চিতে শেষ ওভারে চিটাগং কিংসের চাই ১৫ রান। অন্যদিকে এই রান ডিফেন্ড করতে হবে খুলনা টাইগার্সকে।

কঠিন এই সময়ে খুব স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেওয়া হয়েছিল, খুলনার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বল তুলে দেবেন দলের অন্যতম অভিজ্ঞ পেসার জেসন হোল্ডারের হাতে। ১৩৮টি ওয়ানডে ও ৬৩ টি-টোয়েন্টি খেলা পরিণত হোল্ডারই হতে পারেন ম্যাচ নির্ধারণী ওভারের সেরা বোলিং অপশন।

কিন্তু হায়, সবাইকে অবাক করে মিরাজ বল তুলে দিলেন তরুণ পেসার মুশফিক হাসানের হাতে। মুশফিক আগের ওভারে ২ উইকেট পেয়েছেন। তাই হয়তো তার ওপরই অধিনায়কের আস্থা। এমন ভেবে খেলা দেখতে শুরু করলেন সবাই। আর ওই ওভারের শেষ বলে অ্যালিস ইসলামের হাতে চার খেলেন মুশফিক। সবাইকে বিস্মিত করে ম্যাচ হেরে গেলো খুলনা।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠলো, শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই না, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিশ্বক্রিকেটে পরিচিত, অভিজ্ঞ, পরিণত বোলার হোল্ডারকে রেখে তরুণ মুশফিকের হাতে বল তুলে দেওয়া কেন?

খেলা শেষে প্রেস কনফারেন্স এসে প্রথমে সে প্রশ্নেরই মুখোমুখি হলেন খুলনা অধিনায়ক মিরাজ।

মিরাজের ব্যাখ্যা, ‘আসলে আমিও হয়তো হোল্ডারকেই বেছে নিতাম। কিন্তু ১৮ নম্বর ওভারে হোল্ডার শেষ ২ বলে ১০ রান দিয়েছেন (সুনির্দিষ্ট করে বললে শেষ ৩ বলে ছক্কা, চার ও সিঙ্গেলস; সব মিলে ১১ রান, মোট ১৩ রান)। একটি করে ছক্কা ও বাউন্ডারি হজম করেছেন চট্টগ্রামের ব্যাটারদের কাছে।’

মিরাজ আরও বলেন, ‘যেভাবে সে বল দুটি করেছে, তাতে আমার আস্থা কমে যায়। আর মুশফিক আগের ওভারে (১৬ নম্বর ওভারে ৫ রান দিয়ে ২ উইকেট) বেশ ভালো বল করেছিল। তাই আমি মুশফিককে বোলিংয়ে আনি।’

গতকাল বুধবার খুলনার এই হার মানতে পারেননি ভক্তরা। মুশফিকের বলে প্রথম ৫ বলে ১ উইকেটের বিনিময়ে চিটাগং তোলে ১১ রান। জয়ের জন্য শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকাতেই হতো চিটাগংকে। ওই বলেই মুশফিককে চার মেরে বন্দরনগরীর দলকে ফাইনালে তোলেন অ্যালিস ইসলাম। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার থেকে বিদায় হয়ে যায় খুলনার।

এমএইচ/এএসএম

Read Entire Article