হামাসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে জিম্মিদের একটি তালিকা যেকোনো মুহুর্তে হস্তান্তর করা হবে। তবে গাজায় জটিলতা এবং ইসরায়েলি বোমা হামলার কারণেই যুদ্ধবিরতি কার্যকরে বিলম্ব হচ্ছে।
যুদ্ধবিরতির আলোচনায় অংশ নেওয়া কাতারের এক কর্মকর্তা বলেছেন, জিম্মিদের মধ্যে যাদের মুক্তি দেওয়া হবে তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
ইসরায়েলের কারণে গাজার যুদ্ধবিরতি আটকে গেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার আগমুহূর্তেই হঠাৎ বেঁকে বসে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন যে, হামাসের পক্ষ থেকে জিম্মিদের নামের তালিকা প্রকাশ না করা পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে না।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর সাড়ে ১২টা) এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুর্হূর্তে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, তিনি ইসরায়েলি বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার জন্য হামাসের কাছ থেকে জিম্মিদের তালিকা পাওয়া আবশ্যক।
এর কিছুক্ষণ পরেই হামাস এক বিবৃতিতে জিম্মিদের নামের তালিকা হস্তান্তরে দেরির জন্য ‘প্রযুক্তিগত কারণ’-এর কথা উল্লেখ করে জানিয়েছে, তারা পূর্বনির্ধারিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে।
আল-জাজিরার প্রতিবেদক স্টেফানি ডেকার বলেন, হামাস ও ইসরায়েলের ওপর অনেক আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে, যা প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে সহায়ক হবে। তিনি বলেন, হামাস এখনো এই নামগুলো হস্তান্তর না করলে তাদের ওপর বিশাল চাপ তৈরি করবে কাতার।
- আরও পড়ুন:
- শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসলো ইসরায়েল/ হামাস জিম্মিদের তালিকা না দিলে যুদ্ধবিরতি নয়
- গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণায় ফিলিস্তিনিদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস
- কী আছে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে?
এর আগে নেতানিয়াহু এক ভাষণে বলেছিলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ের যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অগ্রগতি না হলে ইসরায়েল গাজায় আবার হামলা শুরুর অধিকার রাখে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান ও আসন্ন প্রশাসনের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
টিটিএন