যে ৩ সময়ে ঘুমাতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে হাদিসে
ঘুম মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সারাদিনের পরিশ্রম, দৌড়ঝাঁপ আর মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হয়ে মানুষ ঘুমের মধ্যে প্রশান্তি খুঁজে পায়। ইসলামে ঘুমকে শুধু শরীরের বিশ্রাম নয়, বরং আল্লাহর এক বিশেষ নেয়ামত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘আর আমি তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী, রাত্রিকে করেছি আবরণ।’ (সুরা নাবা : ৯-১০) তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রত্যেকের নিয়মমাফিক ঘুমানো জরুরি। ঘুমের জন্য উপযুক্ত সময় হলো রাত। হ্যাঁ দিনেও ঘুমানো যায়। তবে, ৩টি সময় না ঘুমাতে উৎসাহিত করা হয়েছে হাদিসে। এই সময়গুলো হলো- ফজরের পর ঘুমানো ফজরের পর ঘুমানোর ব্যাপারে হাদিসে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকেও সকালে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবে এই সময়ে ঘুমানো নাজায়েজ নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) উম্মতের জন্য সকালের সময়ে বরকতের দোয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতকে সকালবেলা বরকত দান করবেন।’ (আবু দাউদ : ২৬০৬, ইবনে মাজাহ : ২৩৬, ২২৩৭, ২২৩৮) রাজধানীর জামিয়া ইকরার ফাজিল মুফতি ইয়াহইয়া শহিদ বলেন, অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, ‘আমার উম্মতের জন্য সকাল বেলার সময়টাতে বরকত দেওয়া হয়েছ
ঘুম মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সারাদিনের পরিশ্রম, দৌড়ঝাঁপ আর মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হয়ে মানুষ ঘুমের মধ্যে প্রশান্তি খুঁজে পায়। ইসলামে ঘুমকে শুধু শরীরের বিশ্রাম নয়, বরং আল্লাহর এক বিশেষ নেয়ামত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘আর আমি তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী, রাত্রিকে করেছি আবরণ।’ (সুরা নাবা : ৯-১০)
তাই সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রত্যেকের নিয়মমাফিক ঘুমানো জরুরি। ঘুমের জন্য উপযুক্ত সময় হলো রাত। হ্যাঁ দিনেও ঘুমানো যায়। তবে, ৩টি সময় না ঘুমাতে উৎসাহিত করা হয়েছে হাদিসে। এই সময়গুলো হলো-
ফজরের পর ঘুমানো
ফজরের পর ঘুমানোর ব্যাপারে হাদিসে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের আলোকেও সকালে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তবে এই সময়ে ঘুমানো নাজায়েজ নয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) উম্মতের জন্য সকালের সময়ে বরকতের দোয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতকে সকালবেলা বরকত দান করবেন।’ (আবু দাউদ : ২৬০৬, ইবনে মাজাহ : ২৩৬, ২২৩৭, ২২৩৮)
রাজধানীর জামিয়া ইকরার ফাজিল মুফতি ইয়াহইয়া শহিদ বলেন, অন্য এক বর্ণনায় এসেছে, ‘আমার উম্মতের জন্য সকাল বেলার সময়টাতে বরকত দেওয়া হয়েছে। সুতরাং কেউ যদি সকালের সময়টিতে ঘুমিয়ে থাকে তবে কীভাবে বরকত আসবে।
আসরের পর
আসরের নামাজের পর ঘুমানো মাকরুহ। এই সময় ঘুমালে নিজের ব্রেনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আসরের পর ঘুমায় আর তার বুদ্ধি কমে যায়, তবে সে যেন নিজেকে তিরস্কার করে। (মুসনাদে আবি ইয়ালা : ৪৮৯৭, আল ফিক্বহুল ইসলামী : ১/৪৭০)
মাগরিবের পর ও এশার আগে
মাগরিবের পর ও এশার আগে ঘুমানো হারাম বা নিষেধ নয়। তবে সাধারণত এই সময় ঘুমালে এশার জামাতে সমস্যা হতে পারে। তাই অনুত্তম। তবে কারও যদি একান্ত প্রয়োজন হয় তাহলে ঘুমাতে পারেন।
হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) এশার নামাজের পূর্বে ঘুমানো এবং নামাজের পর অহেতুক গল্প-গুজব করা খুব অপছন্দ করতেন। (সহিহুল জামি : ৬৯১৫)
সকালের ঘুমের ব্যাপারে সতর্ক করে ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেন, ‘তোমরা সকালের ঘুম থেকে বেঁচে থাকবে। কেননা তা জ্বরের প্রকোপ বাড়ায়, যৌন ক্ষমতা কমায় এবং শারীরের সজীবতা নষ্ট করে।’ (আন-নিহায়াতু ফি গারিবিল আহাদিস)
What's Your Reaction?