যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন আরসা প্রধান আতাউল্লাহ
মিয়ানমারে জান্তা বাহিনীর আতঙ্ক আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। এ বাহিনীর তাণ্ডবে রীতিমত খেই হারিয়ে ফেলেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। রাখাইনের এ বিদ্রোহী গোষ্ঠির প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীকে নারায়নগঞ্জ থেকে আটক করেছে র্যাব।
জানা যায়, আগেই র্যাবের কাছে খবর আসে আরসা প্রধান তার সহযোগীদের নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমিপল্লি আবাসিক এলাকার ভূমিপল্লি টাওয়ারে অবস্থান করছে। পরে সেখানে টিম নিয়ে অভিযান চালায় র্যাব। আটক করা হয় আতাউল্লাহসহ ৬ জনকে। এ সময় তাদের কাছে নগদ ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১শ টাকা, একটি ধারালো চাকু ও একটি স্টিলের ধারালো চেইন উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আরাকান রোহিঙ্গা বিদ্রোহী স্যালভেশনের গ্রেপ্তারকৃত সদস্যরা নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহে নাশকতা ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিল।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) তাদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে নেওয়া হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক দুই মামলায় তাদের ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মঙ্গলবার সন্ত্রাস বিরোধী ও অবৈধ প্রবেশ আইনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
র্যাবের মুখপাত্র লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মিয়ানমারের আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনী ওরফে আতাউল্লাহ (৪৮), মোস্তাক আহাম্মদ (৬৬), সলিমুল্লাহ (২৭), মোসা. আসমাউল হোসনা, হাসান (১৫) ও মনিরুজ্জামান (২৪)।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ‘আরসা’ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অধিকাংশ হত্যা, অপহরণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছে আরসার সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। মিয়ানমার থেকে এর নেতৃত্ব দিত আরসা প্রধান আতাউল্লাহ।