ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৪১ হাজার ৬২৭ জন প্রার্থীকে দেশের বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। অথচ শিক্ষক পদে যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল, তাতে শূন্য পদ ছিল এক লাখ ৪২টি। সেই হিসাবে ৫৮ হাজার ৪১৫টি পদ শূন্য থেকে গেলো।
এতে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে যে শিক্ষক সংকটে ভুগছে, তার যথাযথ সমাধান হচ্ছে না। অনেক প্রতিষ্ঠানই নতুন শিক্ষক পাবে না। যেহেতু জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশের বাইরে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ নেই, ফলে শিক্ষক সংকটে বাধাগ্রস্ত হবে শিক্ষা কার্যক্রম।
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। সংস্থাটি বলছে, যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় তারা পদগুলো শূন্য রাখতে বাধ্য হয়েছে। এমনকি যতগুলো শূন্য পদে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল, তার বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছিল অর্ধেকের মতো। সেখান থেকেও কিছু প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন। ফলে এত সংখ্যক পদ শূন্য রেখে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে হচ্ছে তাদের।
- আরও পড়ুন
- শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ পেলেন ৪১৬২৭ জন
- পাঠ্যবই থেকে ৭ মার্চের ভাষণ বাদ দেওয়ার প্রস্তাব নাকচ, বাকবিতণ্ডা
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে বলা হয়, ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে মোট শূন্য পদ ছিল এক লখ ৮২২টি। পরে ৭৮০টি পদের চাহিদা বাতিল করা হয়। এতে শূন্যপদ দাঁড়ায় এক লাখ ৪২টি। এসব পদের বিপরীতে নিয়োগের সুপারিশ পেতে আবেদন করেন ৫৭ হাজার ৮৪০ জন।
তাদের মধ্যে ৪১ হাজার ৬২৭ জনকে মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় ৫৮ হাজার ৪১৫টি পদ শূন্য থেকে গেছে।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সর্বোচ্চ সংখ্যক শূন্যপদে নিয়োগের জন্য যাতে সুপারিশ করা যায়, সেজন্য আমরা চেষ্টা করেছি। অনেকে নিবন্ধন সনদে উল্লেখিত পদ, বিষয় ও প্রতিষ্ঠানের যে ধরন, তারও বাইরে আবেদন করেছেন। তাদেরকে বাদ দিতে হয়েছে। অনেকে আবার যে প্রতিষ্ঠানগুলো পছন্দক্রমে দিয়েছেন, সেখানে আসন ফাঁকা নেই। ফলে তাকে বাদ পড়তে হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামীতে এ শূন্যপদগুলোতে দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরবর্তী বিজ্ঞপ্তিতে এসব ফাঁকা পদসহ নতুন করে শূন্য হওয়া পদগুলোতে নিয়োগ দেওয়া হবে। এনটিআরসিএ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিক-নির্দেশনা মেনে শিক্ষক সংকট দূর করতে কাজ করবে।
এএএইচ/কেএসআর/এএসএম